HomeMy Blogইসলামিক পদ্ধতিতে যেভাবে পশু বলি দেওয়া হয়! এটা ঠিক না ভুল? কি...

ইসলামিক পদ্ধতিতে যেভাবে পশু বলি দেওয়া হয়! এটা ঠিক না ভুল? কি বলছে বিজ্ঞানীরা।

The way animals are sacrificed in the Islamic way! Is it right or wrong? What scientists are saying?

The way animals are sacrificed in the Islamic way! Is it right or wrong? What scientists are saying


Bakra eid 2021: সুদূর প্রাচীনকাল থেকে মুসলিমদের পশুবলি করার প্রক্রিয়াটি কে অনেকজন অনেক রকম ভাবে নিন্দা করে আসছেন। তার একমাত্র কারণ হল মুসলিমরা পশুদের যন্ত্রণার সঙ্গে অর্থাৎ গলার দিক থেকে অর্ধেকটা কেটে পড়ে ছেড়ে দেন। এই কারণবশত যে পশুটিকে বলি দেওয়া হচ্ছে তার মৃত্যু খুব কষ্টের সঙ্গে হয়। এই ঘটনাটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় তীব্র আকার ধারণ করে চলেছে।

অধিকাংশ লোকেদের মতে মুসলিমরা যে প্রক্রিয়ায় পশুবলি দিয়ে থাকে সেটি হচ্ছে অমানবিক। কারণ পশুকে যদি বলি দিতেই হয় একবারই শরীর থেকে গলা কে কেটে ফেলা উচিত তাহলে খুব জলদি পশুর মৃত্যু হয়ে যাবে এবং সেই পশু কষ্ট হবে না। তাই হিন্দুরা পশু বলি দেওয়ার সময় একবারই পশুর গলা কেটে ফেলেন ।

না না আমরা কোন হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ঝামেলা বা ঝগড়া করানোর উদ্দেশ্যে এই লেখাটা লিখছি না। আসুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানীর কি বলছেন এই পশু বলির ব্যাখ্যাটি কে নিয়ে। কোনটি আসলে ঠিক হিন্দুদের নিয়মটি না মুসলিমদের নিয়মটি।


Bakra eid 2021: আসুন জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞানীদের বক্তব্য,
ইসলামিক নিয়মে পশু বলি দেওয়ার মূলত দুটি কারণ।

১. সাধারণ দৃষ্টিতে ইসলামিক নিয়মে পশুবলি দিলে আমাদের মনে হয় পশুটি অনেক যন্ত্রণা ও বেদনার সঙ্গে মৃত্যুবরণ করছে, এর একমাত্র কারণ হল পশুটি গলা অর্ধেক কেটে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সে ছটফট করতে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নিয়মটি সঠিক, কি অবাক হলেন তো, বিজ্ঞানীরা কি ভুলভাল বলছে ভাবছেন? না বিজ্ঞানীরা ঠিকই বলছে ,
মুসলিমরা পশুকে কাটার সময় গলা দিয়ে কাটেন যার ফলে সর্বপ্রথম একটি অতি আবশ্যক শিরা কাটা পড়ে যেটি গলার সামনে থাকে। এই শিরাটির কাজ হচ্ছে যে কোন পশুর শরীরে ব্যথাকে অনুভব করানো। এই শিরা প্রথমে কেটে যাওয়ার ফলে পশুটির কোন রকম ব্যথা অনুভব হয় না। পশুটি ছটপট করে ঠিকই কিন্তু তার বিন্দুমাত্র ব্যথা অনুভব হয় না।

২. দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, হিন্দুদের নিয়মে পশু বলি দেওয়ার সময় পশুটির হার্ট পাম্প করা বন্ধ করে দেই , যার ফলে প্রশুটির শরীরে অধিকাংশ রক্ত থেকে যায়। আমরা সবাই জানি রক্ত এমন একটি জিনিস যাতে ব্যাকটেরিয়া খুব জলদি বংশবিস্তার করতে পারে। শরীরে রক্ত থাকার জন্য সেই মাংসটি খুব জলদি ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে চলে আসে এবং সেটি ধীরে ধীরে মাংসটি নষ্ট হতে থাকে। কিন্তু ইসলামিক নিয়মে পশু বলি দেওয়ার সময় পশু টির হার্ট পাম করা বন্ধ করে না যার ফলে শরীরের সমস্ত রক্ত গলা থেকে বেরিয়ে আসে।
এই দুটি কারণ এর জন্য মুসলীমরা গলা দিয়ে পশুটির হত্যা করেন।

ইসলামিক পদ্ধতিতে পশু কাটার সময় প্রাণীটি ব্যাথা অনুভব করে কি না এ নিয়ে একটা পরীক্ষা করা হয়েছিলো।

Read More: Petrol: বর্ধমানে বাইক চালকরা পেলেন বিনামূল্যে ১ লিটার পেট্রোল

পরীক্ষাই একটি পশুকে EEG এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তার পর তার গলা কেটে বলি দেওয়া হয়,
পরীক্ষায় দেখা যায়,

১.গলা কাটার প্রথম ৩সেকেন্ডে EEG গ্রাফে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না, অর্থাৎ পশুটি কোনো ব্যাথা পায় না।
২.পরের ৩ সেকেন্ডের EEG রেকর্ডে দেখা যায়, পশুটি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকার মতো অচেতন হয়ে থাকে,শরীর হতে প্রচুর রক্ত বের হয়ে যাওয়ায় ব্রেইনে রক্ত সরবরাহ হয় না বলে এই অচেতন অবস্থা হয়।
৩.এই প্রথম ৬ সেকেন্ড পরে EEG গ্রাফে Zero level দেখাচ্ছিলো, তার মানে পশুটি কোনো ব্যাথা পাচ্ছিলো না।
৪.পশুটি যে ছোট-পট করাটা আমরা দেখি সেটা Spinal cord এর একটি Reflex Reaction, এটা মোটেও ব্যাথার জন্য হয় না।

(এই পরীক্ষাটি করেন জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রফেসর শুলজ এবং ডক্টর হাজিম।)
আপনাদের মতামত কমেন্ট করে আমাদের জানান আপনাদের মতে কোনটি ঠিক?

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular