HomeGovt Schemesপ্লাজমা জেট ইঞ্জিন কাজে লাগান যা খুবই অল্প খরচে জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়াই...

প্লাজমা জেট ইঞ্জিন কাজে লাগান যা খুবই অল্প খরচে জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়াই বানানো যাই | পড়ুন বিস্তারিত |

Smart Update24, by Swastika Paul


প্লাজমা জেট ইঞ্জিন |এমন এক জেট ইঞ্জিন , যা আপনার মহাকাশযানটিকে প্রচলিত ইঞ্জিন গুলো আপেক্ষা বেশী দ্রুত গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে বাহিরে নিয়ে গেলো। আর এসব কিছুই ঘটছে কোনরূপ জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়াই এবং অতি অল্প খরচে। ঠিক এ কাজটিই করবে একটি প্লাজমা জেট ইঞ্জিন। যদিও এই ইঞ্জিনটির গবেষণা এখনো গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ রয়েছে তবুও এর প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে স্যাটালাইট ও অন্যান্য মহাকাশযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা। আর এখন টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব বার্লিনের গবেষকগণ চেষ্টা করছেন এই ইঞ্জিনকে গবেষণাগারের বাইরে নিয়ে আসার। প্লাজমা জেট ইঞ্জিনে তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরীর জন্য জ্বালানীর পরিবর্তে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


Technical University Of Berliner বারকান্ট গোকেলে এবং তাঁর দল এই প্লাজমা জেট ইঞ্জিনকে একটি বিমানে স্থাপন করতে যাচ্ছেন। তাঁরা বলেন, “আমরা এমন একটি পদ্ধতি গড়ে তুলতে চাই, যা একটি বিমানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে  30 কিলোমিটার উপরে চলতে সাহায্য করবে  যেখানে প্রচলিত জেট ইঞ্জিন যেতে পারে না।” আর এটি যাত্রীদের বায়ুমন্ডলের শেষভাগে কিংবা তার বাইরেও নিয়ে যেতে সক্ষম। তবে এ ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের বিষয়টি হচ্ছে, এমন একটি বায়ু-শোষক প্লাজমা পরিচালিত  জেট ইঞ্জিন গড়ে তোলা যা এই বিশাল উচ্চতায় বায়ুর চাপ সহ্য করে উড়তে পারবে । প্লাজমা জেট ইঞ্জিনকে একটি ভ্যাকুয়াম অথবা কম চাপের বায়ুমন্ডলে কাজ করার মতো করে নকশা করা হয়েছে, যেখানে তাদের একটি গ্যাস সরবরাহক বহন করতে হবে।   বায়ুর নিম্নচাপের মধ্যেও কাজ করতে পারে। এই জেট  ইঞ্জিনটি সেকেন্ডে 2 কিলোমিটারের বেশী গতিতে পৌঁছাতে সক্ষম।


যা উক্ত ইঞ্জিনটিকে, সাধারণ জ্বালানী-চালিত ইঞ্জিনের চেয়ে অনেক বেশী দক্ষ করে তুলেছে।  কিন্তু এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন বিমানকে পরিচালিত করতে হলে কিছু বাধা অতিক্রম করতে হবে। উড্ডয়ন শুরুর জন্য দলটি 80 মিলিমিটারের ক্ষুদ্র থ্রাস্ট ব্যবহার করেছেন, যেখানে একটি বাণিজ্যিক বিমান উড়তে এরকম প্রায় 10,000 থ্রাস্টের প্রয়োজন পড়ে।  আপাতত সমস্যা এড়িয়ে যেতে, গবেষক দলটি  ছোট আকারের বিমান বেছে নিয়েছেন যাদের থ্রাস্ট 100থেকে 1000 এর মধ্যে থাকবে। আর তাঁদের ধারণা এটা নির্মান করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে। তবে সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে হালকা ওজনের ব্যাটারির অভাব। প্লাজমা তৈরী ও বজায় রাখতে হলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন। অন্যান্য সম্ভাব্য বিকল্পগুলির মাঝে রয়েছে সৌর প্যানেল কিংবা ইঞ্জিনগুলিকে বিনা তারে শক্তি প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা। এরই মধ্যে তিনি হাইব্রিড বিমানের দিকে নজর দিচ্ছেন, যেখানে প্লাজমা ইঞ্জিনকে কম্পন বিস্ফোরক জ্বালানী ইঞ্জিন কিংবা রকেটের সাথে সংযুক্ত করে জ্বালানী সাশ্রয় করা যাবে।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular