কেমন হবে যদি আমরা দীর্ঘক্ষণ গ্যাজেট ইউজ করতে পারি চার্জে লাগানোর টেনশন ছাড়াই?? ঠিক তেমন ব্যাটারির সন্ধান নিয়ে আজকের আর্টিকেল(Self Repairing Battery)।
![Scientists have discovered a new type of battery (Self Repairing Battery), this battery does not have to be charged repeatedly, 1 selfrepairin](//sdsmartupdate24.in/wp-content/uploads/2021/01/selfrepairin-300x211.jpg)
self repairing battery: দৈনন্দিন জীবনে পুরো বিশ্ব ব্যাটারি চালিত গেজেট ব্যবহার করে । যেমন আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি থেকে শুরু করে মানুষের Heart-এ ব্যবহার করা প্রেস মেকার পর্যন্ত। এমন কোথাও নেই যেখানে ব্যাটারি ব্যবহার হয় না। তবে এসব গ্যাজেটের একটা নেগেটিভ দিক হচ্ছে এগুলিকে চার্জ করতে হয় । যদি এমনটা হত যদি এগুলোকে কোনদিনও চার্জ করতে হতো না।
আবার দেখা যায় প্রথম প্রথম ব্যাটারি ঠিক ব্যাকআপ দিলেও কিছুদিন পর ব্যাটারি ব্যাকআপ আগের মত থাকে না তখন আমাদের অনেক রকম অসুবিধায় পড়তে হয়।সে সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আৎসুও ইয়ামাদা এবং তার দল সাম্প্রতিককালে এমন এক ম্যাটেরিয়াল আবিষ্কার করেছেন যা, প্রচলিত ব্যাটারিকে প্রতিস্থাপিত করতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আৎসুও ইয়ামাদা এবং তার দল এই সমস্যা সমাধানের জন্যে বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরণের ব্যাটারি আবিষ্কার করেছেন যা কিনা প্রচলিত ব্যাটারির থেকে কয়েকগুন ব্যাকাপ টাইম বেশি দিতে পারবে, ফলে দীর্ঘক্ষণ স্মার্টগ্যাজেটের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সম্ভব হবে।
তারা বলেছেন যে, আমরা যদি অক্সিজেন রেডক্স লেয়ারড অক্সাইড ব্যবহার করে ব্যাটারি তৈরি করি তাহলে একাধারে চার্জিং ও ডিসচার্জিং এর ফলে ঘটা লেয়ারের ক্ষয়ক্ষতি তো কমেই তার সাথে লেয়ারগুলো নিজেরাই নিজেদের ক্ষয়পূরণ করতে সক্ষম হয়।
সহজভাবে বলা যায় যে, ব্যাটারির কোষগুলো ক্ষয় হয়ে যাবার ফলে এদের কর্মদক্ষতা কমে যায়, কিন্তু নতুন এই ব্যাটারি নিজেই নিজের ক্ষতিগ্রস্থ কোষ পূনরায় ঠিক করতে পারবে, যা এর আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি। তারা কাজ করছেন কিভাবে ব্যাটারিকে ড্যামেজ রিপেয়ার করার শক্তি প্রদান করা যেতে পারে, যাতে করে ব্যাকাপ টাইম যেন প্রথমবারের মতই থাকে।
এই ক্ষয় হবার প্রসেস টা দূর করতে সক্ষম হয়েছেন একটি এক্সট্রা সোডিয়াম আয়ন থাকা ম্যাটেরিয়াল থেকে ইলেক্ট্রড বানিয়ে। ফলে এই পদ্ধতিতে আবিষ্কৃত ব্যাটারি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়না খুব সহজে, ফলে দিতে পারে দীর্ঘক্ষণ ব্যাকাপ টাইম।
বাণিজ্যিকভাবে এখনো বাজারে এর আবির্ভাব ঘটেনি, তবে যখন ঘটবে তখন যে বেশ সাড়া ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কে না চায়, চার্জে না লাগিয়ে গ্যাজেট ব্যবহার করতে, সেই স্বপ্ন বুঝি এবার সত্যি হতে যাচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত তা বাজারে এসে আমাদের চাওয়াগুলোকে পূরন করুক, কতকিছুই তো উন্নত হচ্ছে, এবার না হয় ব্যাটারির পালা এসেছে।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান ।