HomeGovt Schemesজীবিত মানুষের শরীর থেকে ফুসফুস প্রতিস্থাপন জাপানে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে পৃথিবীতে প্রথম।

জীবিত মানুষের শরীর থেকে ফুসফুস প্রতিস্থাপন জাপানে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে পৃথিবীতে প্রথম।

WhatsApp Group Join Now
Instagram Profile Join Now
YouTube Channel Subscribe
Lung transplantation from a living human body is the first in the world in Japan the world of medicine.

চোখ বা কিডনি প্রতিস্থাপন তো বহুদিন ধরেই চলে আসছে। আজকাল হৃৎপিণ্ড এমনকি ফুসফুসও প্রতিস্থাপন হচ্ছে। তবে তা মৃত মানুষের শরীর থেকে। কিন্তু কোনো জীবিত মানুষের ফুসফুস বসিয়ে দেওয়া যায় আরেকজনের শরীরে?

কিছুদিন আগেও বিশ্বের তাবৎ চিকিৎসকদের কাছে এমন ঘটনা নেহাৎ অসম্ভব ছিল। তবে এখন আর নয়। সেই আপাত অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলেছেন জাপানের একদল চিকিৎসক। কায়োটো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে।

একজন নয়, কোভিড আক্রান্ত দুজন রোগীর ফুসফুস বদল করা হয়েছে। আর তাঁদের শরীরে বসানো হয়েছে তাঁদেরই একজনের স্বামী এবং অন্যজনের পুত্রের ফুসফুস।

গতবছরই মহামারীর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দুই মহিলা। দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে তাঁদের সংক্রমণমুক্ত করা গেলেও ততদিনে দুজনেরই ফুসফুস একেবারে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে। কৃত্রিম ভেন্টিলেশনের মধ্যেই রেখে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। তবে প্রায় এক বছর ধরে ফুসফুস দাতার জন্য আবেদন জানানো হলেও কোনো মৃত মানুষের পরিবারই রাজি হননি।

Google News View Now

অথবা দেখা গিয়েছে আগ্রহী দাতাদের রক্তের নমুনার সঙ্গে রোগীর রক্তের পার্থক্য থেকে গিয়েছে। অতএব শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্তই নিলেন চিকিৎসকরা। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম জীবিত মানুষের শরীর থেকে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করলেন কায়োটো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর পরপর দুটি অস্ত্রপ্রচারেই মিলেছে সাফল্য।

চিকিৎসকদের দলটি প্রধান ডঃ হিরোশি ডেট জানিয়েছেন, আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য দুজনকেই পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হবে। প্রয়োজনে এই সময়কাল বাড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি যে দুজন ফুসফুস দান করেছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তবে আপাতত কারোরই আশঙ্কার কোনো কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। এবং এই পদ্ধতি যে সম্পূর্ণ নিরাপদ, তাতে তাঁর অন্তত কোনো সংশয় নেই।

বর্তমানে সারা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই ছোট-বড়ো ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করলে রোগীদের প্রাণসংশয় এড়ানো যায়। কিন্তু উপযুক্ত দাতা না পাওয়ায় তা সম্ভব হয় না। এই নতুন পদ্ধতি কার্যকর হলে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন ডঃ হিরোশি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে এ এক বিপ্লব বৈকি!

WhatsApp Group Join Now
Google News View Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular