HomeGovt Schemesআপনি কি জানেন আমরা DSLR ছবি তুলতে কেন পছন্দ করি ?...

আপনি কি জানেন আমরা DSLR ছবি তুলতে কেন পছন্দ করি ? জানুন বিস্তারিত |

WhatsApp Group Join Now
Instagram Profile Join Now
YouTube Channel Subscribe

Smart Update24, by Swastika Paul


DSLR শব্দটির মূল Technology আসলে SLR। যে পদ্ধতিতে ছবি তোলার আলোটা আসে বা ধরা হয় তা হচ্ছে SLR, আর D বলতে ডিজিটাল বুঝায় কেননা আলো ধরার পর ইমেজ প্রসেস করে স্ক্রিনে ছবি রূপে দেখানোর পুরো পদ্ধতিটাই Digital।

অপরদিকে SLR শব্দটির মানে হচ্ছে Single Lens Reflex।

Google News View Now

এই তিনটি কথার মানে হলো

 


প্রথমত,

এই পদ্ধতির ক্যামেরাগুলোতে (এনালগ, ডিজিটাল দুটোতেই) একটিমাত্র আলোকপথে লেন্স ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আলো একটা মাত্র লেন্স (এখানে লেন্স বলতে সামগ্রিকভাবে ভেতরে সবগুলো কাঁচের সমষ্টিকে বুঝানো হচ্ছে) এর ভেতর দিয়েই ক্যামেরায় প্রবেশ করে এবং ছবি তোলার কাজে ব্যবহৃত হয় এবং ওই একই লেন্স থেকে ঢোকা আলো ক্যামেরার পেছনে চোখ রাখার জন্যে থাকা Viewfinder পর্যন্ত পৌছায়। এক্ষেত্রে ভিউফাইন্ডার এ দেখার জন্যে আলাদা কোনো লেন্স ব্যবহার করা হয় না। তাই এগুলো Single Lens Reflex ক্যামেরা।

অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে

 

i. আলো লেন্স দিয়ে প্রবেশ করে ক্যামেরার ভেতরে পৌঁছায়।

ii. ক্যামেরার ভেতরে আলো গিয়ে পাশপাশি 45 degree এঙ্গেলে বসানো আয়নায় পড়ে এবং সেখান থেকে ক্যামেরার ভেতরে উপরের দিকে থাকা Matte Focusing Screen পেরিয়ে কনডেনসারের মধ্যে দিয়ে পেন্টাপ্রিজমে প্রবেশ করে।

 

iii. পেন্টাপ্রিজম হচ্ছে ভিউফাইন্ডের অগ্রভাগের উঁচু দিকটার ভেতরের অংশ, যার ভেতর মোট পাঁচটা দেয়াল থাকে যার মাঝে দুটি আয়না। এই আয়নাগুলোতে আলো কনডেনসার থেকে প্রবেশ করে প্রতিফলিত হয়ে ভিউফাইন্ডার দিয়ে বের হয়। যার দরুন ভিউফাইন্ডারে চোখে রাখলে একদম ঠিক যে এঙ্গেলে, যে ফোকাসে ক্যামেরা ছবিটা নিবে সেই অবস্থাটাই আমরা দেখতে পাই।

আর এতেই এই নামকরণের সার্থকতা।


আমরা ক্যামেরা থেকে লেন্স Detach করলে যে চারকোনা ঢালু করে বসানো আয়নাটা দেখি সেটা এই আয়নাই। অনেকে হয়তো একে ইমেজ সেন্সর ভেবে ভুল করতে পারেন। কিন্তু ইমেজ সেন্সর আসলে এর পেছনে থাকে। তাও আবার শাটার দারা আড়াল করা।

 

তাহলে কথা হল ছবি ওঠে কিভাবে?


এতেই SLR পদ্ধতির দারুণ উদাহরণ রয়েছে। ক্যামেরার মেকানিজম এমনই থাকে যে ঠিক যে সময় আমরা ছবি তোলার জন্যে বাটনে ক্লিক করি, তখনি সামনের আয়নাটা উপরে উঠে যায় আর লেন্স থেকে আসা আলো সেই ক্ষুদ্রসময়ে সরাসরি পেছনের দিকে পড়ে। ঐ একই সময়ে পেছনে থাকা শাটার পড়ে গিয়ে সেন্সর উন্মুক্ত হয়। যতটুকু টাইমিং সেট আপ বা শাটার স্পীড নির্ধারণ করে রাখা হয়, ঠিক ততটুকু সময়ের জন্যে তা খোলা থাকে তারপর আবার ওই শাটার টি নেমে যাই |

এরপর পরই সেন্সরে যাওয়া অসংখ্য, অগণিত আলোর কণা প্রতিটা ক্ষুদ্রতম অংশে পিক্সেল বাই পিক্সেল হিসেবে তড়িৎ প্রক্রিয়াজাতকরণ হয় এবং তা স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়। এ কাজের জন্যে প্রতিটা DSLR এর প্রয়োজন পড়ে ইমেজ সেন্সরের। এই ইমেজ সেন্সরের উপরও নির্ভর করে ছবির মান।


আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

WhatsApp Group Join Now
Google News View Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular