বৈজ্ঞানিকরা প্রমান করলেন যে মৃত্যুর পরও মানব মস্তিষ্কের কিছু কোষ জীবিত থাকে ।![Scientists have proved that some cells of the human brain are still alive after death. 1 human nerve cell illustration 651425163 5b205b168e1b6e003681b4af](//sdsmartupdate24.in/wp-content/uploads/2021/04/human-nerve-cell-illustration-651425163-5b205b168e1b6e003681b4af-300x171.jpg)
শরীরে রক্ত সংবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে হৃদপিণ্ডের লাব-ডুব শব্দও। চিকিৎসক লিখে দিয়েছেন ডেথ সার্টিফিকেট। তবু তার পরেও সচল থাকে মানবমস্তিষ্ক। রীতিমতো সক্রিয় থাকে মস্তিষ্কের বেশ কিছু রহস্যময় কোষ।
শুধু সক্রিয়ই থাকে না, মানুষের মৃত্যুর পর তাদের কর্মক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। বেড়ে যায় তাদের কাজকর্মের গতি।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা সেই রহস্যময় কোষগুলিকে চিনতে পেরেছে। এই প্রথম। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ।
গবেষণা জানাচ্ছে, মানুষের মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করে যায় এই কোষগুলি। সেই কাজের গতিও আগের চেয়ে অমেক বেশি। মানুষের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পর শেষমেশ তাদের কাছে যেন নির্দেশ আসে ‘আর কাজ চালিয়ে যাওয়ার দরকার নেই’। তার পর সেই কোষগুলিও মরে যায়।
মূল গবেষক ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক জেফ্রি লোয়েব ও তাঁর সহযোগীরা দেখেছেন, মানুষের মৃত্যুর বহু ক্ষণ পরেও মস্তিষ্কের এই রহস্যময় কোষগুলি নতুন নতুন শুঁড় বার করে। সেগুলি খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে।
গবেষকরা জানিয়েছেন এর আগে বেশির ভাগ গবেষণাই দেখিয়েছে, হৃদযন্ত্রের কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলেই মানবমস্তিষ্ক অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু এই গবেষণায় দেখা গেল, তা নয়। তার পরেও সক্রিয় থাকে মানবমস্তিষ্কের কয়েকটি কোষ। তাদের সক্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।
মূল গবেষক লোয়েবের কথায়, ‘‘আশা করি এই গবেষণা আগামী দিনে অটিজম, অ্যালঝাইমার্স, স্ক্রিজোফ্রেনিয়ার মতো কয়েকটি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের মস্তিষ্ক কী ভাবে কাজকর্ম করে তা বুঝতে সাহায্য করবে।