Make In India , সমুদ্রগর্ভে দেশীয় প্রযুক্তির হাত ধরে শক্তিশালী হচ্ছে নৌসেনার সাবমেরিন![Make In India, Navy submarines are getting stronger with the help of indigenous technology 1 Vagir submarine](//sdsmartupdate24.in/wp-content/uploads/2021/06/Vagir-submarine-300x167.jpg)
Make In India: শেষ পর্যন্ত সাবমেরিনের থেকে অনেক বেশি বড় ডুবো জাহাজ (submarine) তৈরির প্রজেক্টের (project) ছাড়পত্র মিলল। বহু দিন ধরে থমকে ছিল এই বিশাল সাবমেরিনগুলি তৈরির কাজ। এবার সেই কাজ হচ্ছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর (indian navy) শক্তি বৃদ্ধি লক্ষ্য। এই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ৬ টি সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of defense)। এগুলি ৭৫-ইন্ডিয়া (75 india) প্রকল্পের আওতায় পড়ে।
৬ সাবমেরিন তৈরির কাজের সবুজ সংকেত শেষ পর্যন্ত মিলেছে। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হচ্ছে ৫০হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে। এগুলি তৈরি করতে কাজ করবে দুটি দেশীয় সংস্থা। একটির নাম মাজাগন ডকস লিমিটেড এবং অপরটি এলঅ্যান্ডটি।
এই প্রকল্প ছাড় দেওয়ার আগে একটি বৈঠকে হয়। তারপর দেওয়া হয় সবুজ সংকেত। মাজাগন ডকস লিমিটেড এবং এলঅ্যান্ডটি উভয় সংস্থাই বিদেশী শিপইয়ার্ডগুলির সহযোগিতায় এই প্রকল্প কীভাবে রূপ দেওয়া হবে তার সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দেবে।
মূলত সামুদ্রিক অঞ্চলে শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এই সাবমেরিন প্রকল্প শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৬টি বড় সাবমেরিনই ডিজেল-বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে চলতে সক্ষম হবে। এখনও পর্যন্ত যে সব সাবমেরিন দেশে ব্যবহার করা হয় সেগুলির থেকে এই সাবমেরিনগুলির থেকে ৫০ শতাংশ বেশি বড় হবে বলে জানা গিয়েছে।
অত্যাধুনিক উপকরণ থাকবে এই সাবমেরিনগুলিতে। এতে থাকবে ভারী অস্ত্রও। বহুদিন ধরে এই প্রকল্প আটকে ছিল বলে এর ভবিষ্যত নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছিল।প্রকল্পের শিলমোহর পড়ায় সেই প্রশ্ন আর থাকল না।
ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছিল তারা সাবমেরিনে হেভি ডিউটি ফায়ার পাওয়ারে প্রয়োজন রয়েছে। অ্যান্টি শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তো রয়েছে। সঙ্গে ১২ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইলও চাইছিল তারা। দরকার ছিল ১৮ হেভিওয়েট টর্পেডো বহনে সক্ষম সাবমেরিনও। সেই চাহিদা অনুযায়ী এই সাবমেরিনগুলি তৈরি হচ্ছে। এখন নৌবাহিনীতে ১৪০ টি’র মতো ডুবো জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে এই সাবমেরিনই যে ভারতের প্রধান অস্ত্র হতে চলেছে তা তার ধারণ ক্ষমতা এবং নির্মাণশৈলীতেই স্পষ্ট। জানা যাচ্ছে, অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইলের (ASCM) পাশাপাশি প্রতিটি বোটে কমপক্ষে ১২টি ল্যান্ড অ্যাক ক্রুজ মিসাইল (LACM) ধারণ করার ক্ষমতা রাখবে।
বর্তমানে ভারতের নৌবাহিনীতে মোট ১৫টি সাবমেরিন রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন (Nuclear Submarine), আইএনএস আরিহান্ত (INS Arihant) এবং আইনএস চক্র (INS Chakra)।