HomeGovt SchemesDiamond Rain শুনেছেন কী? জেনে নিন এক ক্লিক এ |

Diamond Rain শুনেছেন কী? জেনে নিন এক ক্লিক এ |

WhatsApp Group Join Now
Instagram Profile Join Now
YouTube Channel Subscribe

Smart Update24, by Swastika Paul

 

Diamond Rain | অ্যাসিড বৃষ্টি তো আমাদের সকলেরই জানা কিন্তু এবার জেনে নিই হীরার বৃষ্টি নিয়ে | হীরা কার্বনের বহুরুপের মধ্যে একটা।নেপচুনের তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীর তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রের চাইতে 10 গুন শক্তিশালী।তাছাড়া এর তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি 10 degree নতিতে গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের মধ্যে বিন্যস্ত।এই কারনে গ্রহটির গ্যাসীয় মেঘের সমুদ্রের মাঝে প্রচুর বজ্রপাত হয়।আমরা অনেকেই জানি একেকটি বজ্রপাতে সূর্যের পৃষ্ঠের সমপরিমান তাপ উৎপন্ন হয়।তাছাড়া নেপচুনের বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর চাপ অপেক্ষা কয়েকশত গুন বেশি।এতটায় বেশী যে টাইটানিকের মত জাহাজ কয়েক সেকেন্ডে দুমড়ে মুচড়ে প্রতিটা অংশ আলাদা হয়ে যাবে।নেপচুনের প্রায় 10% উপাদান মিথেন।তাছাড়া প্রচুর কার্বন অণুরুপেও বিরাজ করছে।এর প্রতিকুল পরিবেশের অত্যধিক তাপমাত্রা ও চাপে বায়ুমণ্ডলের মিথেন ভেঙ্গে কার্বনের স্ফটিকে(গ্রাফাইট) পরিনত হয়।স্ফটিক গুলো যখন বায়ুমণ্ডল ভেদ করে নিচে নামতে থাকে তখন তা ঘর্ষণের ফলে হীরাতে পরিনত হয়।যত নীচে নামে, ততই আশপাশের হীরার কণাগুলো জুড়ে গিয়ে আরও বড় বড় খণ্ড হতে থাকে। আরও লোভনীয় হয়ে উঠতে থাকে। তার ঝলক বাড়ে। বেড়ে যায় সেই হীরক খণ্ডের দ্যুতি, দীপ্তিও। বহুগুণ বেড়ে যায় তাদের ঔজ্জ্বল্যও। যা পৃথিবীর প্রাকৃতিক হীরের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি উজ্জ্বল। অনেক অনেক বেশি ঝকঝকে। যা চার পাশটা আলোয় আলোয় ভরিয়ে রাখে। যেন হাজার তারার আলো। এমন একেকটি হীরার টুকরো 1 cm পর্যন্তও হতে আরে।তবে দূরত্বের কারনে পৃথিবী থেকে সবচাইতে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়েও আমরা তা পর্যবেক্ষণ করতে পারি না।

Google News View Now

ইজরাইলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা নেপচুনের সম্পুরক পরিবেশ তৈরি করে হীরা উৎপন্ন করেছেন। গ্রাফাইটকে পৃথিবীর 100 গুন বায়ুমণ্ডলীয় চাপে 6000 degree  ফারেনহাইটে উত্তপ্ত করে এর উপর লেজার লেজার রশ্মি ফেলে হীরার দানা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।এর মাধ্যমে নেপচুনে হীরার বৃষ্টিপাতের ঘটনাটি প্রমানিত হয়। এক দল জ্যোতির্বিজ্ঞানীর জোরালো দাবি, হীরার তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম গ্যাসে ভরা বাকী আরও 3 গ্যাসীয় গ্রহে।তবে গ্রহগুলিতে হীরা প্রচুর পরিমাণে জন্মালেও আর তাদের ঔজ্জ্বল্য পার্থিব হীরার চেয়ে অনেক বেশি হলেও, তা খুব বেশি ক্ষণ কঠিন হীরা হয়ে থাকতে পারে না। বিশেষ করে শনি আর বৃহস্পতির ওপরের ঘন, জমাট গ্যাসের স্তরগুলো ফুঁড়ে-ঢুঁড়ে কঠিন হীরে যতই নীচে নামতে থাকে, সেগুলো ততই গলতে শুরু করে দেয়। গলতে গলতে, গলতে গলতে… এতেবারে তরল হীরে হয়ে যায়।আর ইউরেনাস বা নেপচুনের কেন্দ্রীণ প্রচুর উত্তপ্ত(প্রায় 6000 degree F) হওয়ায় হীরাগুলি আবার বাস্পিভুত হয়ে যায়।যা উপস্থিত হাইড্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে পুনরায় মিথেনে উৎপন্ন করে।এই ঘটনাটি অনেকটা বরফ-পানি-বাস্প রূপান্তর প্রক্রিয়ার অনুরূপ। ।বিষয়টি জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া স্পেশ্যালিটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (এসই) জ্যোতির্বিজ্ঞানী মোনা ডেলিটস্কি ও উইসকন্সিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী কেভিন বেইন্স। তাদের গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছিল বিজ্ঞান জার্নাল ’অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স-এ। ডেনভারে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ডিভিশন ফর প্ল্যানেটারি সায়েন্সেসের বার্ষিক অধিবেশনেও পেশ করা হয়েছিল গবেষণাপত্রটি।


 

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

WhatsApp Group Join Now
Google News View Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular