দ্য সিক্রেট নাজকা লাইন: যার প্রকৃত সত্য আজও রহস্যাবৃত(The Secret Nazca Line: Whose Truth Is Still a Mystery:)
Smart Update24,By Syed Mosharaf Hossain:- পৃথিবীর প্রত্যেক জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য রহস্য। যার বেশির ভাগই এখন পর্যন্ত উদঘাটন হয়েছে এবং অন্যগুলো সম্পর্কে মানুষ এখনও ধারণা লাভ করতে সক্ষম হয়নি। ঠিক তেমনই এক রহস্যের নাম নাজকা লাইন। নাজকা লাইন হচ্ছে পৃথিবীর ভূ-খন্ডে এমন এক আশ্চর্যজনক সৃষ্টি যা দেখলে মানব সভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদের ধারণাই পাল্টে যাবে।
.ধারণা করা হয় নাজকা লাইনে কয়েক হাজার বছর আগে কোনো উন্নত সভ্যতা ছিল, যা পরে কোনো এক ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে অথবা প্রাচীনকালে কোনো বুদ্ধিমান ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনের দল পৃথিবীতে এসেছিল যারা এই নিদর্শনগুলো রেখে গিয়েছে। আজ আমরা সেই রহস্যেঘেরা নাজকা লাইন সম্পর্কে জানবো।নাজকা লাইন প্রাচীন সভ্যতা, নাকি ভিনগ্রহের প্রানী এলিয়েনদের স্মৃতিচিহ্ন? এই প্রশ্নটি সবার মনেই বিরাজমান। সেখানকার বাসিন্দারা মনে করে থাকেন নাজকা লাইন হচ্ছে ইনকা দেবতাদের নকশা। আবার বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা যুক্তি দিয়েছেন যে, নাজকা লাইন ছিল এলিয়েনদের ইউএফও বা মহাকাশযান অবতরণের জায়গা।
.নাজকা লাইন পেরুর নাজকা মরুভূমিতে অবস্থিত। যা লিমা শহর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে নাজকা এবং পাল্পা শহরের মাঝে অবস্থিত। মরুভূমিটির প্রায় ৪৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে আঁকা হয়েছে অসংখ্য নকশা। জীবজন্তু, ফুল, গাছ, এলিয়েন সহ আরও অসংখ্য জ্যামিতিক নকশা। এসব নকশার কোনো কোনোটি আবার ২০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
.নাজকা লাইন সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯৩০ সালে। তখন এই এলাকা দিয়ে প্রথম বিমান চলাচল শুরু হয়। বিমানের যাত্রীরা এই বিশাল নকশা ও ছবি দেখে অবাক হয়ে যায়। তার পত্রিকা অফিসে খবরটি জানালে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই নাজকা লাইন পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
.কিন্তু নাজকা লাইন কাদের তৈরি এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে বেশিরভাগ গবেষকরা ধারণা করেন, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪০০-৬৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই নকশাগুলো এঁকেছিল।