Social News

প্রতিদিনের প্রয়োজনের স্মার্ট প্রযুক্তিতেই হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা বেশি!

মুহূর্তে মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে ইন্টারনেট। প্রতিদিনের প্রয়োজনের পাশাপাশি ভবিষ্যতের ভরসায় পরিণত হয়েছে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ বা ‘IoT’। ইন্টারনেটের ব্যবহারের পাশাপাশি তার থেকে সৃষ্ট বিপদ থেকেও সাবধান থাকতে হবে। IoT যন্ত্রাংশ সব সময় সঠিক নিরাপত্তা দিতে পারে না।

IoT ব্যবহারের রিস্কফ্যাক্টর
ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল ইউজারের অসম্পূর্ণ তথ্য। অর্থাৎ, ইউজারের ব্যক্তিগত ডেটা অন্য কেউ জেনে গেলেও, তা সম্পর্কে ইউজার আঁচ না করতে পারা। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই জানতেও পারেন না যে, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই তথ্য-ফাঁস হয়েছে।

স্মার্ট হোম
সম্প্রতি স্মার্ট হোম প্রডাক্টের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। লাইট, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, অ্যালার্ম ইত্যাদিতে স্মার্ট অটোমেশন পদ্ধতির ব্যবহার হচ্ছে। তবে এসবের জন্য WiFi কানেকশনের প্রয়োজন। আর এই WiFi থেকেই বিপদ আসে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হোম-রাউটার হ্যাক করে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা হতে পারে। সব সিস্টেমের একটি নিয়ন্ত্রণ থাকলে তা ইউজারের পক্ষে আরও নিরাপদ ও সহজ হবে।

স্মার্ট অফিস
ব্যবসা বৃদ্ধিতে ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এছাড়াও স্মার্ট অফিসের জন্য CCTV ক্যামেরা, প্রিন্টার ইত্যাদির প্রয়োজন রয়েছেই। কিন্তু, হ্যাকারদের নিশানা থেকে বাদ যায় না এগুলিও। তবে যে কোনও একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবহার করলে এই আশঙ্কা থাকে না।

স্বাস্থ্যের জন্য
বর্তমান বাজারে ফিটনেস ট্র্যাকারের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। তবে ফিটনেস ট্র্যাকারও হ্য়াক হতে পারে। মূলত যে কোনও কানেক্টেড ডিভাইসই হ্যাক করা সম্ভব। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা যায়, ৮৪% বিক্রেতাই ডিভাইসের সম্পূর্ণ তথ্য ক্রেতাদের জানায় না। এর থেকে ডিভাইস সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে অবহিত হতে পারেন না ইউজাররা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button