বৈজ্ঞানিকরা আবিষ্কার করলেন Electrical T-shirt, Charge হবে আপনার মোাইলটি- পড়ুন বিস্তারিত

Smart Update24, Syed Mosharaf Hossain


বৈজ্ঞানিকরা আবিষ্কার করলেন Electrical T-shirt, Charge হবে আপনার মোাইলটি- পড়ুন বিস্তারিত:-

ধরুন আপনি কোথাও ভ্রমণে গেছেন আর দেখলেন আপনার মোবাইলে 1% চার্জ নেই।তখন আপনার পরিস্থিতি কি হবে সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি কারণ আজকের দিনে মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকা খুবই কষ্টকর কারণ আমরা মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারিনা।সেই পরিস্থিতিতে আপনি কি করবেন যদি সেখানে কোথাও চার্জিং এর ব্যবস্থা না থাকে। এখন যদি আপনাকে বলি যে আপনি যদি একটু দাঁড়িয়ে হাঁটাহাঁটি করে আসেন আর এই হাঁটাহাঁটি ফলের আপনার মোবাইলটি আবার পুনরায় চার্জ হয়ে যাবে কথাটা শুনতে কেমন লাগবে আপনার। বেশ মজা লাগবে তাই না যে শুধু হাঁটাহাঁটির ফলে আপনার মোবাইলটি চার্জ হয়ে যায়।
বৈজ্ঞানিকরা ন্যানোটেকনোলজি কে কাজে লাগিয়ে এমন এক ধরনের পোশাক আবিষ্কার করেছে যেটি কিনা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে এবং যার ফলে আপনার মোবাইলটি বা আপনার সঙ্গে ব্যবহারকারী electronics-gadgets খুব দ্রুত চার্জ হয়ে যাবে।


আসুন জেনে নেই কিভাবে তা সম্ভব করেছেন বিজ্ঞানীরা…
শক্তির সংকট এখন বিশ্বজুড়ে। আর তাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীরাও চেষ্টা করছেন বিভিন্নভাবে শক্তি উৎপাদনের। আর এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র একদল গবেষক জানালেন কাপড় থেকে শক্তি উৎপাদনের কথা। বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’ সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। ন্যানোটেকনোলজি কে কাজে লাগিয়ে উনারা যে পোশাকটি বানিয়েছে সেই পোশাকটি নড়াচড়া হলে সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে যেমন আপনি যদি হাঁটাচলা করেন তাহলে সেই পোশাক পড়বে এবং এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এই পোষাকের নাম দেয়া হয়েছে ‘পাওয়ার শার্ট’।


এই গবেষনাদলের সদস্য জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র অধ্যাপক Zhong Lin Wang পোষাক থেকে বিদ্যূত উৎপাদনের এই সমগ্র ব্যবস্থার নাম দিয়েছেন তন্তু ভিত্তিক ন্যানোজেনারেটর (fiber-based nanogenerator)। তিনি জানিয়েছেন, এই বিদ্যূত উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ এবং অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক হবে। পাওয়ার শার্টের মাধ্যমে বিদ্যূত উৎপাদনের জন্য কাপড়ের তন্তুর সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে অতি সুক্ষ জিঙ্ক অক্সাইডের ন্যানোতার। এসব ন্যানোতারের মাধ্যমে বিদ্যূত উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি পিজোইলেকট্রিক ইফেক্ট (piezoelectric effect) হিসেবে পরিচিত। চাপ (Stress) প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন করার প্রক্রিয়া পিজোইলেকট্রিক ইফেক্ট নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে জিঙ্ক অক্সাইডের ন্যানোতার বেছে নেয়ার পেছনেও প্রধান কারন ছিলো এই পিজোইলেকট্রিক ধর্ম। জিঙ্ক অক্সাইড পিজোইলেকট্রিক ধর্ম প্রদর্শন করে এবং তা অর্ধপরিবাহী। পরীক্ষাগারে যেসব ন্যানোজেনারেটর তৈরি করা হয়েছে এসব থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমান অনেক কম। বিজ্ঞানীরা চিন্তাভাবনা করছেন একে আরোও কিভাবে কার্যকর করা যায় বা কিভাবে একের অধিক ন্যানোজেনারেটর ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যূতের পরিমান বাড়ানো যায়।বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই অভিনব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত বিদ্যূত বিভিন্ন মোবাইল, আইপডের মতো বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক্স পন্যের পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করবে।


আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here