আপনি কী জানেন পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman)এসেছিলেন মহাবিপ্লবী ভগৎ সিং, আত্মগোপন করেছিলেন বর্ধমান এর বীরপুত্র, বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িতে:
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে উনিশ শতকের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন বটুকেশ্বর দত্ত।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ থানা এলাকার ওঁয়াড়ি গ্রামে ১৯১০-এর ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন বটুকেশ্বর দত্ত। কিছুদিন ওঁয়াড়ি গ্রামে থাকার পর বাবার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে চলে যান। কানপুরে কলেজে পড়ার সময় তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। পরাধীন দেশকে স্বাধীন করতে তিনি নাম লেখান বিপ্লবী দলে। যোগ দেন চন্দ্রশেখর আজাদের সংগঠন হিন্দুস্থান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন-এ।
১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত বোমা ফেলেন, “ইনকিলাব জিন্দাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক” স্লোগান দিয়ে দেশমুক্তির দাবিতে লিফলেট ছড়ান ও তারপর দু’জনেই স্বেচ্ছায় ধরা দেন। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুর ফাঁসি হলেও বটুকেশ্বর দত্তের বয়স কম থাকায় তাঁকে ১৯৩০ সালের ৬ জুন ব্রিটিশ সরকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আন্দামান-নিকোবরের সেলুলার জেলে দ্বীপান্তরিত করে। পরে তিনি জেল থেকে মুক্ত হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চলে আসেন পাটনা শহরে। ১৯৬৫ সালের ১৯ জুলাই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে লোকচক্ষুর আড়ালেই বটুকেশ্বর দত্তের মৃত্যু হয়। বটুকেশ্বর দত্ত বিপ্লবী সদস্যদের নিকট বি কে নামে পরিচিত ছিলেন।