আপনি কি জানেন? ফুলে কখনো মধু থাকেনা।মধু তৈরী হয় মৌমাছির পাকস্থলীতে!! (You know what There is never honey in the flower. Honey is made in the stomach of the bee )
Smart Update24, By Syed Mosharaf Hossdain: ফুলে মধু থাকে না। এগুলো হচ্ছে এক প্রকার মিষ্টি রস যাকে Nectar বলে। এগুলো মূলত পরাগায়নের জন্য পোকামাকড় এবং প্রাণীদের আকৃষ্ট করে। যখন কোন পোকামাকর বা পাখি এই রস গুলো খেতে আসে তখন তাদের মাধ্যমে পরাগরেণু গ্রহীত হয়।
কর্মী মৌমাছিরা ফুলের কাছে গিয়ে তার হুল বের করে যা তার থুতনির নিচে লুকানো থাকে। ফুলের রসের পরিমাণ বুঝে ফুল থেকে তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী রস সংগ্রহ করে “মধু পাকস্থলি” তে জমা করে। সাধারণত মৌমাছির দুইটি পাকস্থলী থাকে। একটি তার স্বাভাবিক পাকস্থলী আর অন্যটি মধু পাকস্থলী যার ধারণক্ষমতা প্রায় 70 মিলিগ্রাম। আর এই মধু পাকস্থলীতেই মৌমাছি ফুলের নেককচার সংগ্রহ করে। ফেরার পথেই এনজাইম কর্তৃক মধুপাকস্থলীতে মধু তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।সাধারণত সাধারণত নেকচারে আদরতা থাকে ৭০-৮০ %। আর মধু পাকস্থলিতে এই আদ্রতা কমিয়ে তা মধুতে পরিনত করা হয়।
মৌচাকে কিরে কর্মী মৌমাছি ৫০ টি অল্পবয়স্ক মৌমাছিকে রস বন্টন করে দেয় ( বমির মাধ্যমে)।তারপর সব মৌমাছি সেই রোজ গুলোকে চিবুতে থাকে এবং ধীরে ধীরে আদ্রতা ৩০থেকে ৩৫শতাংশে নেমে আসে।এবং পরবর্তীতে এই রস বিন্দুকে মৌমাছিরা তাদের মৌচাকের মোম কোষে জমা রাখে এবং ক্রমাগত ডানা ঝাপটানো অব্যাহত রাখে যাতে বায়ু চলাচলের মাধ্যমে নেকচার থেকে আরো পানি বের হয়।
এভাবে ক্রমাগত ডানা ঝাপটানোর ফলে Nectar এর আদ্রতা তার পরিমাণ 15 শতাংশে নেমে আসে এবং এনজাইমের ক্রিয়ায় সুক্রোজ এর পরিমাণ 5 শতাংশে নেমে আসে।সাধারনত নেকচারেরেই অবস্থাকেই মধু বলে। এই কার্যটি সম্পাদিত হতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। নেকচারের আদ্রতা যখন সর্বনিম্ন ১৮ শতাংশে নেমে আসে। তখন এর ওপর মোমের একটি আস্তরণ বসে।এই আস্তরন না বসলে মধু পরিপক্কতা লাভ করে না।আর পরিপক্ক মধু কখনো নষ্ট হয় না।