Today we will learn about a man who is not a great scientist. His career is not very successful. Many have not heard his name. But his IQ is higher than that of scientists like Einstein and Newton.
এক বিস্ময় বালকের গল্প। যিনি হলেন পৃথিবীর সব থেকে বুদ্ধিমান ব্যক্তি। আই কিউ হল বুদ্ধি বিচারের পরিমাপ।সেই হিসাবে আইনস্টাইনের আই কিউ ছিল ১৬০, নিউটনের ১৯০ আর এই বিস্ময় বালকের আই কিউ ছিল ২৬০। ভাবতে পারছেন কত বুদ্ধিমান ব্যক্তি!তবু এত বুদ্ধিমান ব্যক্তি হওয়াটাই তাঁর কাল হয়েছিল।
আইনস্টাইন নিউটনের থেকেও বড় বিজ্ঞানী হতে পারতেন কিন্তু তিনি সারাজীবন একজন কেরানির চাকরি করে জীবন কাটিয়ে দিলেন।কেন? সেই বিষয়েই এবারে আসছি।
ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব মেধাবী ছিল এই বিস্ময় বালক। অতি শিশু বয়েস থেকে সে “নিউইয়র্ক টাইমস ” গড়গড় করে পড়ত। ছোটবেলায় সে ইংরেজি, ল্যাটিন, ফরাসি জার্মান আরো বেশ কয়েকটি ভাষা শিখে ফেলল।সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল তাঁর এই কান্ডকারখানা দেখে। এরপর তাঁর বাবা তাঁকে মাত্র ১১ বছর বয়েসে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিল। হাভার্ডের ইতিহাসে এত কম বয়েসে আজ পর্যন্ত কেউ ভর্তি হয়নি। ঐ বয়েসে তাঁর বুদ্ধিমত্তা দেখে হাভার্ডের শিক্ষকরা তাকে অন্য ক্লাসে লেকচার দিতে পাঠাত। ভাবা যায়!
সে অঙ্কে খুব ভাল ছিল। মাত্র ১৬ বছরে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টসে স্নাতক হল। এরপর একটা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতার চাকুরিতে জয়েন করল। সেখানে ছাত্ররা তার থেকে বয়েসে বড় ছিল। তারা তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করত। সে চাকুরি ছেড়ে দিল। তার সব বিষয়ে এই গভীর জ্ঞানের জন্য মানুষ তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতে লাগল। সে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াত। একা থাকতে পছন্দ করত। কখনও পার্কে একা বসে বসে কাঁদত। তাঁর যশ খ্যাতি নিয়ে এত আলোচনা সব জায়গায় হত। তার ভাল লাগত না।
সে আরো বড় বিজ্ঞানী বা যা খুশি হতে পারত কিন্তু একটা সামান্য ক্লার্কের কাজ করে জীবনটা কাটিয়ে দিল।বিবাহ পর্যন্ত করল না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধবিরোধী প্যারেডে সামিল হওয়ার জন্য গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুকাল তিনি জেলে থাকেন। আমেরিকার বস্টন শহরে জন্ম নেওয়া এক ছিন্নমূল উদ্বাস্তু পরিবারের এই বালকটির নাম হল উইলিয়াম জেমস সাইডিস।
মাত্র ৪৬ বছরে চলে গেছলেন পৃথিবীর সবথেকে বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তাঁর অপরাধ একটাই ছিল ঈশ্বর তাঁকে বিরাট জ্ঞানী করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।