এক সময় এন্ড্রয়েড ফোন Root করা অনেক কঠিন একটা ব্যাপার ছিল কিন্তু এখন Root করাটা অনেক সহজতর ব্যাপার হয়েগেছে।
Contents
Root কি?
শব্দটি এতোই প্রচলিত হয়ে গেছে যে, Root ইউজার বলার বদলে সবাই এটিকে সরাসরি Root বলে থাকে। সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায়, Root হচ্ছে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর বা প্রশাসক। যদিও এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড়, লিনাক্সের জগতে Root বলতে সেই পারমিশন বা অনুমতিকে বোঝায়, যা ব্যবহারকারীকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে।
Root হচ্ছে একটি এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন পারমিশন বা অনুমতি। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না। লিনাক্সেও তেমনি Root পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া সিস্টেম এ্যাডমিনিষ্ট্রেশনের কাজগুলো করা যায় না। যিনি লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন অথবা যার সব কিছু করার অনুমতি রয়েছে, তাকেই Root ইউজার বলা হয়। নিচে আমি বর্ণনা করবো কিভাবে Root করতে হয়।
এন্ড্রয়েড ফোন Root করার আগে কি করতে হয়?
আপনার প্রিয় এন্ড্রয়েড মোবাইলটি Root করার পূর্বে কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। তা না হলে ফোন Root করার ব্রিক করার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই মোবাইল হুটহাটভাবে Root না করে Root করার গে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করে তারপর মোবাইল Root করার শুরু করবেন।
- এন্ড্রয়েড মোবাইল Root এর প্রসেস ভালোভাবে না জেনে বা না বুঝে Root করতে যাবেন না। কারণ আপনার অভীজ্ঞতার অভাবে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম নস্ট হতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম নস্ট হলে ফোন ফ্লাশ না করে ঠিক করা যাবে না।
- মোবাইল Root করার পূর্বে মিনিমাম ৫০% চার্জ করে নিবেন। কারণ Root করার সময় মোবাইল অফ হলে ফোন ব্রিক করতে পারে।
- কম্পিউটার দিয়ে Root করার ক্ষেত্রে ফোনের অরিজিনাল ডাটা ক্যাবল ব্যবহার করবেন।
- কম্পিউটারের USB Port সঠিকভাবে কাজ করে কি না তা যাচাই করে নিবে। কারণ ফোন Root করার সময় ক্যাবলা নাড়াচাড়া লাগলে ফোন ব্রিক হতে পারে।
- আপনার কাঙ্খিত মোবাইলের ড্রাইভার অবশ্যই ডাউনলোড করে পিসিতে ইনস্টল করে নিবেন।
- ফোন ম্যামোরিতে থাকা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস External Memory Card এ রাখলে ভালো হবে।
এন্ড্রয়েড ফোন Root করার সুবিধা কি?
- মোবাইলের স্পিড ও পারফরমেন্স বৃদ্ধি করা যায়।
- মোবাইলের সিস্টেম এ্যাপসগুলোকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চাইলে যেকোন সিস্টেম এ্যাপ ডিলিট করা যায়।
- বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইলের অব্যবহৃত বা টেমপোরারি ফাইল নিয়মিত মুছে ফোনের স্পিড বাড়ানো যায়।
- কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসর এর গতি বাড়ানোর প্রয়োজন হলে তা বৃদ্ধি করা যায়।
- অপ্রয়োজনীয় এ্যাপস বন্ধ রেখে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব হয়।
- বিভিন্ন ধরনের কাস্টম মডিউল ব্যবহার করে ফোনকে ইচ্ছামত ডিজাইন করা যায়। যাল ফলে ফোনের বাহ্যিক সুন্দর্য্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।
- মোবাইলে পছন্দমত কাষ্টম ফন্ট ইনস্টল করা যায়
- মোবাইলে যেকোন ধরনের Crack, Patch ও Hacking Scripts ব্যবহার করা যায়।
এন্ড্রয়েড ফোন Root করার অসুবিধা কি কি?
- ফোন Root করলে ওয়ারেন্টি থাকবে না। তাই Root করার আগে এ বিষয়েটি মাথায় ভালোভাবে গেথে নিবেন। তবে সার্ভিস সেন্টারে নেওয়ার আগে মোবাইল পুনরায় আন Root করে নিলে মোবাইল কোম্পানি সেটি বুঝতে পারবে না। এ ক্ষেত্রেও কিছুটা ঝুকি থেকে যায়।
- ফোন Root করলে মোবাইল ব্রিক করতে পারে। ব্রিক মানে হচ্ছে কাজ করার ক্ষমতা হারাতে পারে। এ ক্ষেত্রে ফ্লাশ করলে আবার ঠিক হয়ে যাবে।
- Root করার পর আপনার মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট পাবেন না। কারণ OTA আপডেট করার সময় Error ম্যাসেজ শো করবে।
- মোবাইলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কারণ Root করা ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আনলক থাকে।
- সঠিকভাবে না বুঝে মোবাইল Root করলে Root করার সময়ই ফোন নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।