কী এই Gorilla Glass? বাস্তবে এই প্রযুক্তি কতটা রক্ষা করে স্মার্টফোনকে?
এতদিনে নিশ্চয় আপনি গোরিলা গ্লাস শব্দটি বহুবার শুনে ফেলেছেন। স্মার্টফোন কিনতে যাওয়ার সময় অনেকেই সেটির উপরে গোরিলা গ্লাস কোটিং রয়েছে কি না, দেখে নেন।
কিন্তু কী এই গোরিলা গ্লাস? স্মার্টফোনের স্ক্রিন রক্ষা করতেই বা কতটা উপযোগী এই প্রযুক্তি?
এই প্রতিবেদনে রইল আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।গোরিলা গ্লাস হল কাচের মতো দেখতে একরকম কঠিন আবরণ যা আপনার স্মার্টফোনের টাচস্ক্রিনকে বাহ্যিক আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে।
কী এই গোরিলা গ্লাস? কর্নিং ইনকর্পোরেটেড নির্মিত এই গ্লাস অত্যন্ত মজবুত ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। এর মূল উপাদান হল অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন ও অক্সিজেন। এই তিনটি পদার্থ মিশিয়ে তৈরি হয় অ্যালকালাই-অ্যালুমিনসিলিকেট। এই পদার্থই চলতি কথায় গোরিলা গ্লাস। প্রকৃতিতে এই পদার্থ পাওয়া যায় না।
এটি বিশেষভাবে গবেষণাগারে তৈরি হয়। ২০০৫-এর মাঝামাঝি সময়ে গোরিলা গ্লাস আবিষ্কৃত হয়। ওজনে অত্যন্ত হালকা, স্ক্রিনের উপর আঁচড় পড়তে দেয় না বলে এই গ্লাসের জনপ্রিয়তা চড়চড় করে বাড়তে থাকে। বর্তমানে গোরিলা গ্লাসের আবরণ ছাড়া স্মার্টফোন ভাবাই যায় না। অনেকেই স্মার্টফোনে কেনার আগে দেখে নেন, তাতে গোরিলা গ্লাসের আবরণ রয়েছে কি না।
২০১০ থেকে জয়যাত্রা শুরু হয় গোরিলা গ্লাসের। তা বলে কিন্তু এমনটা নয়, যে গোরিলা গ্লাস কখনই ভাঙবে না। আসলে গোরিলা গ্লাসের বেশ কতগুলি ভাগ রয়েছে। পুরুত্বের বিচারের এমনও গোরিলা গ্লাস রয়েছে যার উপরে হাতুড়ি মারলেও স্ক্রিন ভাঙবে না। গ্লাস ১, ২ ,৩ এভাবেই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গোরিলা গ্লাস আরও আধুনিকতর বা আপডেটেড হয়েছে। বর্তমানে গোরিলা গ্লাসের 5th জেনারেশন বাজারে এসে গিয়েছে। প্রস্তুতকারকদের দাবি, মাটির উপর প্রায় ১.৬ মিটার উঁচু থেকে এই গোরিলা গ্লাসে ঢাকা মোবাইল আছড়ে ফেললেও তার স্ক্রিন ভাঙবে না, এতটাই মজবুত সেটি।
কী করে বুঝবেন ফোনেও গোরিলা গ্লাস রয়েছে কি না?
এটা জানা খুব সহজ। কর্নিংয়ের ওয়েবসাইটে একটি তালিকাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কোন কোন হ্যান্ডসেটে এই প্রযুক্তি রয়েছে। বর্তমানে বহু সংস্থাই ফোনকে বাহ্যিক আঘাতের হাত থেকে রক্ষায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গ্রাহকদের মনেও একটা ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছে যে ফোনে যদি গোরিলা গ্লাস কভার থাকে তাহলে বোধহয় আমার ফোন ভাঙবে না। আর এই ধারণা থেকেই গোরিলা গ্লাসের এমন রমরমা।