FaceApp এর নাম আমরা সবাই শুনেছি আসুন জেনেনি কিকরে এই FaceApp টি কাজ করে?
Contents
What is FaceApp (ফেসপ্যাক)? : বিগত কিছুদিন ধরে ফেসবুক এবং অন্যান্য যত সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে সেসব সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি অ্যাপ্লিকেশন খুব পরিমাণে নজর কেড়েছে সবারির সেটি হচ্ছে ফেস অ্যাপ।
What is FaceApp (ফেসপ্যাক)?
এই ফেসপ্যাকটি হচ্ছে এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যার সাহায্যে আপনি নিজের ছবিকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করতে পারেন যেমন আপনি যদি আপনার কম বয়সী কোন ছবিকে বৃদ্ধ বয়সের করতে চান সেটি আপনি করতে পারবেন বা আপনি যদি কোন ছেলের ছবিকে মেয়ের ছবিতে রূপান্তরিত করতে চান সেটি করতে পারবেন বা আপনি নিজের ছবিতে বেশি বেশি করে হাসিয়ো ফোটাতে পারবেন এছাড়া আরো অনেক কিছু ফিচার একটির মধ্যে রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন
FaceApp এর প্রযুক্তি ?
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের ছোট একটি টিম FaceApp নিজস্ব অর্থায়নে ডেভেলপ করেছে। এই টিমে চারজন ফুল-টাইম ইঞ্জিনিয়ার ইনহাউস ফ্যাসিলিটিতে কাজ করেছেন। এছাড়াও এই প্রযুক্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটির ফাউন্ডার Yaroslav Goncharov এমন একটি প্রযুক্তি এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিয়ে এসেছি যেটি নিউরাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে একটি ছবিকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করতে পারে,
উদাহরণস্বরূপ আপনি একটি ছবিকে হাসি যুক্ত করতে পারেন আপনার বয়স কিংবা লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারেন অথবা আপনার ছবিকে আরও আকর্ষনীয় তৈরি করতে পারেন নির্দিষ্ট করে বললে এটি অল্টার সেলফিতে “Deep Generative Convolutional Neural Networks” ব্যবহার করে ফটোরিয়েলিস্টিক উপায়ে ব্যবহার করছে।
গনকারভ বলেছেন, “ FaceApp শুধুমাত্র সেলফি ছবিতে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন করছে না বরং আরো ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি অর্থাৎ আরো ডিপ কোডিং করে পুরো ছবিটা কি নতুন করে পরিবর্তন করে দিচ্ছে । তিনি আরও বলেছেন,“ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ন এবং জটিল কাজ এই অ্যাপটি করে থাকে। ছবিটিকে একই সাথে ফটোরিয়েলিস্টিক এবং হাই রেজুলেশনে রাখাটা বেশ জটিল একটি কর্মযজ্ঞ। আমার মনে হয় না, এধরণের কাজগুলো কোনো প্রচলিত , সাধারণ এলগরিদম দিয়ে করা সম্ভব”
FaceApp ব্যবহার করা কি নিরাপদ?
অ্যাপটির প্রাইভেসি পলিসি বলছে, এটি আপনার আপনার আপলোড করা ছবিগুলোই শুধু নিজের সার্ভারে নেয়। মাথায় রাখতে হবে এই অ্যাপটি দিয়ে যে ছবি বা সেলফি তুলছেন, সেগুলো সংগ্রহে রেখে দিচ্ছে। এই অ্যাপের অন্যতম ডেভেলপার Joshua Nozzi সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, “ অ্যাপটি আপনার লাইব্রেরী থেকে অন্য ছবিও আপলোড করার চেষ্টা করতে পারে।
ব্যাপারটা যদি আপনাকে চিন্তায় ফেলে দেয় তবে, অ্যাপটিকে গ্যালারি বা লাইব্রেরী ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে শুধু মাত্র ক্যামেরা ব্যবহারের অনুমতি দিন।” কিন্তু টুইটার ঘাঁটলে অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনুমতি না দেওয়া স্বত্বতেও অ্যাপটি গ্যালারির ছবি ব্যাবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই ব্যবহারকারীদের নিজ দায়িত্বে অ্যাপটি ব্যবহারের পরামর্শ রইল। একথা সত্যি যে অগমেন্টেড রিয়েলিটির যুগে ফটোরিয়েলিজমের আবেদন সারাজীবন থাকবে।
FaceApp অ্যাপস্টোরে মুক্তির একসপ্তাহের মাঝেই এক মিলিয়নের বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে। উল্লেখ্য এই যে, অ্যাপটি বছর দুয়েক আগে সর্ব প্রথম অ্যাপেল স্টোরে মুক্তি পায়। অ্যাপটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হচ্ছে, পরিবর্তিত ছবি গুলো সরাসরি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ফেসবুকে সরাসরি শেয়ার করা যাচ্ছে। কতদিন এর জনপ্রিয়তা টিকে থাকে সেটিই এখন দেখার বিষয়।