ইলেকট্রনিক্স (Electronics ) এই জিনিসটি আসলে কি? ইলেকট্রনিক্স (Electronics ) এই শব্দটি আমরা আজকের দিনে ব্যাপক পরিমাণে শুনতে পাই । কারণ আজকে বর্তমান সায়েন্সের যুগে ইলেকট্রনিক্স ছাড়া আমরা এক পাও এগোতে পারো না । আমাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সবকিছুতে ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ইলেকট্রনের জিনিসটা আসলে কি??? ইলেকট্রনিক্স হচ্ছে তড়িৎ প্রকৌশলের একটা শাখা। যেখানে ভ্যাকিউম টিউব অর্থাৎ অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে একটা ইলেকট্রনের প্রবাহকে গঠন করা হয়। এতে সাধারণত অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয় যেমন IC, Microprocessor , Diode Transistor ইত্যাদি।
১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক (electrodes) বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ কাঁচের এক প্রকার নল (vacuum tube) উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। আর সেদিন থেকে গুটি গুটি পায়ে ইলেকট্রনিক্স যাত্রা শুরু বলা হয়। সেদিন হয়তো কেউ জানত না যে এই ইলেকট্রনিক্স টি ভবিষ্যতে মানুষদের সবথেকে বড় গেম চেঞ্জার একটা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
যারা ইলেকট্রনিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা আজকের দিনে বর্তমানে থেকে ভবিষ্যতকে পরিষ্কার হবে দেখতে পান যে আরো ফিউচারে কি কি পরিবর্তন করতে চলেছে মানুষের জীবনকে।
ইলেকট্রনিক প্রকৌশল প্রধানত ইলেকট্রনিক বর্তনীর নকশা প্রণয়ন এবং পরীক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রনিক বর্তনী সাধারণত রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ডায়োড প্রভৃতি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়। বেতার যন্ত্রেরটিউনার যেটি শুধুমাত্র আকাংক্ষিত বেতার স্টেশন ছাড়া অন্য গুলোকে বাতিল করতে সাহায্য করে, ইলেকট্রনিক বর্তনীর একটি উদাহরণ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রনিক (Electronics) প্রকৌশল এটি এই নামে প্রচলিত ছিল না এটির আগের নাম ছিল রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল ।তখন এই ব্যবসায়িক ব্যাপারটি বেশ পরিচিতি অর্জন করেনি তখন এটি রেডিও এবং টেলিভিশনে ও রেডার এটির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রনিক্স নাম ধারণ করে।
১৯৫৯ সালে সমন্বিত বর্তনী (integrated circuit or IC)আবিষ্কারের আগে ইলেকট্রনিক বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত।
এই যন্ত্রাংশগুলোর গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আই সি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষ বা এক মিলিয়নেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।