প্রত্যন্ত গ্রামে ড্রোনের (Drone) মাধ্যমে যাবে ভ্যাকসিন (Vaccine),
Drone Vaccine: কেন্দ্রের টিকাকরণ (Vaccination) নীতি নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের টিকাকরণ নিয়ে তুলোধোনা করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। অবশেষে ২১ জুন থেকে সকলের জন্যে বিনামূল্যে টিকার বরাদ্দ করেছে সরকার।
কিন্তু এই গণটিকাকরণের জন্যে প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা পৌঁছানো মুশকিল। তাই এবার ড্রোনের (Drone) সাহায্য নিতে চলেছে কেন্দ্র। প্রত্যন্ত ও বন্ধুর এলাকায় টিকা পাঠানো হবে ড্রোনের মাধ্যমে। তার জন্য দরপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছ থেকে। আগামী ২২ জুনের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকিপ্রাপ্ত সংস্থা এইচএলএল ইনফ্রা টেক সার্ভিসেস লিমিটেড (HLL Infra Tech Services Limited) টিকা কেনার দায়িত্বে রয়েছে। গোটা বিষয়টির তদারকিতে রয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। শুক্রবার তাদের তরফেই দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। জানা গিয়েছে রাজস্থানের বিকানের থেকে এই প্রকল্প শুরু হবে। তবে এই দরপত্রে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ।
MORE: মৃত মস্তিস্ক ও এবার জীবিত হবে | জেনে নিন এক ক্লিক এ |
দরপত্রে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৪ কেজি ওজন বইতে সক্ষম হতে হবে ড্রোনগুলিকে। মাটি থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার উচ্চতায় উল্লম্ব ভাবে উড়তে হবে ড্রোনগুলোকে। যে জায়গা থেকে টিকা বোঝাই করে ড্রোনগুলিকে ওড়ানো হবে, টিকা সরবরাহ করে পুনরায় সেই জায়গায় ফেরত আসতে হবে। এ ছাড়াও টিকা নিয়ে ড্রোনগুলি যাতে নিরাপদে মাটিতে নামে, এবং তার গতিবিধি নির্ভুল ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়তে একমাত্র অস্ত্র ভ্যাকসিন (vaccine)।
তাই কেন্দ্র এখন গণহারে টিকাকরণ শুরু করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ কোটি ৩১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৮ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অপরদিকে রবিবার সুস্থতার সংখ্যা শনিবারের চেয়ে বেড়েছে।
এদিন সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৬২ জন। দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার গত কয়েকদিনের মতো এদিনও বেশি। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৮৯ জন।