Two Gujarat doctors back to work, hours after mothers’ cremation
মায়ের শেষকৃত্য করে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে রোগীর প্রাণ বাঁচাতে ছুটে এলেন 2 ডাক্তার।
এক ডাক্তারের মা তার সন্তানকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা যে কাজ করছে, তার চেয়ে বড় মহৎ কাজ আর দুটো হয় না। তাই ডিউটির আগে কিছু বড় হতে পারে না।
যা পরিস্থিতি,তাতে নিজের দিকে নজর দেওয়ার বিন্দু মাত্র সময় নেই ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীদের। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে কোনও মতে দুঃখ চেপে ফিরে এলেন ২ ডাক্তার। এমনই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল গুজরাটে।
দিনটি বৃহস্পতিবার। রাত তখন ৩.৩০। করোনার সঙ্গে লড়াই করছিলেন ডাক্তার শিল্পা প্যাটেলের মা। সপ্তাহ খানেক ধরে ICU-তে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু, এদিন আর যুঝতে পারলেন না। অন্যদিকে, মেয়ে রোগীদের বাঁচাতে ব্যস্ত। মায়ের কাছে আসতে সময় লেগে যায় ৬ ঘণ্টা। উপস্থিত ডাক্তাররা খুব করে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। নিজের কাজকে সম্মান দিতে মায়ের মৃত দেহে নিজের পিপিই তুলে দেন ডাঃ শিল্পা। কারণ, তাঁর মা তাঁকে বলেছিল সব কিছুর আগে ডিউটি।
পাশাপাশি প্রায় একই ঘটনা দেখা গেল, আরেক জায়গায়। মৃত্যু হল ডাক্তার রাহুল পারমারের মায়ের। তিনি অবশ্য শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মারা যান। ডাঃ রাহুল কোভিড ব্যবস্থাপনায় নোডাল অফিসার, একইসঙ্গে মৃতদেহ দাহ করার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। তিনি কর্তব্য পরায়ণ এক ডাক্তার। কোনও রকমে তাঁর মায়ের শেষকৃত্য করে কাজে ফিরে আসেন তিনি।
দেশের যা ভয়াবহ পরিস্থিতি তাতে, দুঃখ কষ্ট মনে ধরে কাঁদার সময় নেই ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীদের। দিনভর তারা মানুষের সেবার নিয়োজিত। ক্লান্তি ঘিরে ধরলেও উপায় নেই। অক্সিজেন-ওষুধের অভাবে জেরবার গোটা স্বাস্থ্য পরিস্থিতি। সামাল দিতে হচ্ছে প্রতিপদে।