আন্দামানে দেখা মিলল নতুন স্তন্যপায়ীর
Crocidura group : দীর্ঘ ৪০ বছর পর পতঙ্গভুক স্তন্যপায়ী প্রাণীর হদিশ মিলেছে ভারতে। ইঁদুরের মতো দেখতে এই নতুন প্রাণীটি। আন্দামান-নিকোবর (Andaman and Nicobar) দ্বীপপুঞ্জে (islands) দেখা মিলেছে এই স্তন্যপায়ীর।
নরকোন্ডাম নামে একটি আগ্নেয় দ্বীপ আছে আন্দামানে। সেখানেই খোঁজ মিলেছে নয়া স্তন্যপায়ীর।
জনবসতিহীন দ্বীপেই থাকে সেটি। নতুন প্রজাতির হদিশ পায় জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তাদের বিশেষজ্ঞ দলের নজরে আসে ওই এই ছাই রঙের প্রাণীটি । জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘এখনও পর্যন্ত ভারতে ৪২২টি স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। এই প্রথম খোঁজ মিলেছে এমন স্তন্যপায়ীর। যদিও অন্যান্য ধরনের বিভিন্ন স্তন্যপায়ীর খোঁজ মিলেছে। তবে ৪০ বছর পর এমন নতুন প্রজাতির পতঙ্গভুক স্তন্যপায়ী প্রাণীর খোঁজ পেয়েছি আমরা।’(Crocidura group).
১৯৭৮ সাল। দক্ষিণ আন্দামানে এক পতঙ্গভুক স্তন্যপায়ীর খোঁজ মিলেছিল। নার্কোনডাম দ্বীপে সেটিকে পাওয়া গিয়েছিল। তাই নাম রাখা হয়েছিল ক্রকিডুরা নরকনডামিকা’ এমন স্তন্যপায়ী ১১টি প্রজাতির হদিশ আগেও মিলেছে ভারতে।
এটি ১২তম। অন্যান্য ইঁদুর জাতীয় (rat) পতঙ্গভুকের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। জঙ্গলের মাটিতে এদের দেখা মেলে। খায় পোকামাকড়। এতেই চলে যায়। প্রাণী বিজ্ঞানীরা বলছেন পোকামাকড়ের ভারসাম্য রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ বনের ইকো সিস্টেম ধরে রাখে এই প্রাণী।
স্তন্যপায়ী প্রাণী (Mammal) বলতে সাধারণত মাতৃদুগ্ধ পান করে জীবনধারণকারী প্রাণীকে বোঝানো হয়। এরা কর্ডাটা পর্বের অন্তর্গত। ম্যামালিয়া শ্রেণীর হয়। ১৭৫৮ সালে ম্যামাল শব্দটি প্রথম ব্যবহার হয়। ক্যারোলাস লিনিয়াস তা ব্যবহার করেছিলেন। মানুষের স্তনগ্রন্থি-র আকার স্তন্যপায়ী দের মধ্যে সবচেয়ে বড়। মেরুদণ্ডী ও উষ্ণরক্তের প্রাণীদের মধ্যে স্তন্যপায়ীর সংখ্যা বেশি।
মানুষ, হাতি, নীল তিমি, বানর এগুলি যেমন স্তন্যপায়ী। তেমন বাদুড় হল একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যাদের পাখনা আছে। এরা উড়তে পারে। এরা নিশাচর প্রাণী হয়। অন্ধকারে মুখে শব্দ করে পথ চলে। সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী নীল তিমি। এরা বাচতে পারে ২০০ বছর পর্যন্ত।