মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে বানর ভিডিও গেম খেলছে, প্রযুক্তির সাহায্যে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ ভিডিওটি দেখুন:
Contents
প্রযুক্তির সাহায্যে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ,
বানরকে দিয়ে গেম খেলাচ্ছেল এলন মাস্ক, বিতর্ক তুঙ্গে এর লক্ষ্য হল এমন একটি ইন্টারফেস তৈরি করা যা মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে দেবে। কচিকাচারা ছাড়াও আজকাল ভিডিও গেম বড়রাও খেলেন। কিন্তু বানর ভিডিও গেম খেলছে এমনটা দেখেছেন কখনও? এমনই একটি ভিডিও সামনে এসেছে।
আমেরিকান উদ্যোগপতি এলন মাস্ক (Elon Musk) হলেন প্রযুক্তির অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর বেশ কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে নিউরালিংক যা মানব মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে দেয়। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি আমাদের অনের আশার আলো দেখাতে পারে। ৪৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের সম্প্রতি Twitter-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যাতে দেখা গিয়েছে ভবিষ্যতে এই নতুন প্রযুক্তি কী ভাবে কাজ করবে। এর লক্ষ্য হল এমন একটি ইন্টারফেস তৈরি করা যা মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে দেবে।
শুক্রবার, এলন মাস্ক নিউরালিংক-এর YouTube চ্যানেল থেকে ৯ বছর বয়সী একটি মাকাক প্রজাতির বানরের ভিডিও প্রকাশ করেন, যার নাম পেজার (Pager)। দেখা য়ায় সে কম্পিউটার স্ক্রিনে একটি ভিডিও গেম খেলছে। পেজারের মস্তিষ্কের দুই পাশে প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে বিজ্ঞানীরা নিউরালিংক মাইক্রোচিপ যুক্ত করেছিলেন। স্ক্রিনে চলা গেম নিয়ন্ত্রণের জন্য পেজারকে জয়স্টিক ব্যবহার করতে দেখা যায়। ভিডিওটির ব্যাখ্যায় শোনা গিয়েছে নিউরালিঙ্কের মাধ্যমে আলাপচারিতা করা বেশ সহজ। তার জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে একটি স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
ভিডিওটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০০০ ইলেকট্রোড থেকে মস্তিষ্কে বসানো চিপ রেকর্ডারটি পেজারের মোটর কর্টেক্স এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে যা কি না হাত ও বাহু চলাচলের সিগন্যাল দেয়। বানরটির মস্তিষ্কে নিউরনের প্রবাহ কী ভাবে হচ্ছে তা দেখিয়েছেন নিউরালিংক কর্তৃপক্ষ। এখানে পেজারের মস্তিষ্কের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে তার জয়স্টিক চালানো অ্যালগরিদমে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ভিডিও গেমটি খেলার সময় বানরটি জয়স্টিকটি ব্যবহার করে। গবেষক তার স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ রেকর্ড করে এবং ডিকোডারটি ক্যালিব্রেট করেন।
এলন মাস্ক এই ট্যুইটটি করার পরই প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে।
কারণ কিছু নেটাগরিক কমেন্ট বক্সে লেখেন ‘এই প্রযুক্তিগত বিবর্তন আসার পরবর্তী পদক্ষেপটি হল মানুষকে নিয়ন্ত্রণের খেলা’। অন্য একজন জিআইএফ পোস্ট করেন, যাতে লেখা ছিল মানুষের পন্থা হল হিংসা এবং মৃত্যুর। এই জিআইএফ পোস্ট থেকে সহজেই বোঝা গিয়েছে বানর নিয়ে পরীক্ষা চালানো-কে তিনি সমর্থন করেন না। নিউরালিংক-এর নতুন এই প্রযুক্তি সামনের দিনে কতটা আলোড়ন ফেলে তা সময় বলবে।