আজকাল নানা মানসিক চাপের মধ্যে থেকে রাত্রিবেলা যখন আমরা বিছনায় গা এলাই তখনও পরের দিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার একটা টেনশন মনের মধ্যে কাজ করে। ফলে অনেক সময়েই ঘুম সম্পূর্ণ হয় না। আবার কারুর কারুর বাড়ির কাজ সেরে শুতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে রাতে কম ঘুমোনো কোন কৃতিত্বের কথা নয়।
বরং কম ঘুমানো ডেকে আনে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। একসময় বলা হত, জীবনের ৩ ভাগের ১ ভাগ ঘুমিয়ে কাটায় মানুষ। পরে নিজের সময় বেশি কাজে লাগানোর জন্য মানুষ ঘুমের গুরুত্বকে কমিয়ে দিয়েছে। এতেই এসেছে বিপদ। রাতের কম ঘুম ডেকে আনছে নানা রকম অসুস্থতা। রাতে কম ঘুম থেকে শুধু ডিমেনশিয়াই নয়, মানসিক চাপ, হাটের্র অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতার মতো নানা রোগ সবই বাড়ছে।
আরো পোস্ট- মোবাইল টেকনোলজিতে নতুন আবিষ্কার, আপনার মস্তিষ্কে ভিতর বসানো হবে মোবাইল
অনেকেরই মনে হয় কাজের চাপ বেশি না থাকলে, রাতে কম ঘুমোলেও কোনো সমস্যা হবে না। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল এটা মাথায় রাখবেন। দিনেরবেলা কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিয়ে সেই ক্লান্তি থেকে রেহাই পাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কোনো এক রাতের কম ঘুমও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সেই ক্লান্তিই ধীরে ধীরে ডেকে আনতে পারে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা। উল্টো দিকে, পর্যাপ্ত ঘুম যে কারো কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে ও এনার্জি থাকে তুঙ্গে।
মনোরোগ চিকিৎসকরা বলছেন যে কম ঘুম হওয়া এখন দিন দিন মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। এর থেকে শুধু মানসিক সমস্যাই নয়, হৃদরোগ পর্যন্ত হতে পারে। মানুষের স্বাভাবিক নিয়ম হল দিনে জেগে কাজ করা এবং রাতে অন্তত আট ঘণ্টা নির্বিঘ্নে ঘুমোনো। সেই নিয়ম না মানতে পারার ফলেই দিন দিন মানসিক ও শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে মানব দেহে। রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা না ঘুমালে আমাদের স্বাভাবিক রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই এই জন্য রাত জেগে সিনোমা দেখাসহ বই পড়া বা অন্য কাজ করা এমন নানা অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।