জনপ্রিয়তাই কাল হল! থানা পুলিশে জেরবার কাকলি ফার্নিচারের (Kakoli Furniture) কর্ণধার
‘দামে কম, মানে ভাল ‘, মুহূর্তের মধ্যেই জনপ্রিয় এবং ভাইরাল হয়েছিল এই স্লোগান। কাকলি ফার্নিচারের (Kakoli Furniture) এই স্লোগান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা মস্করা করা হয়, যা থেকে বাদ যাননি নেতা মন্ত্রীরাও। কিন্তু এই জনপ্রিয়তাই এখন কাল হয়েছে ‘কাকলি ফার্নিচার’-এর।থানা পুলিশে জেরবার দোকানের মালিক। কিন্তু কেন থানায় যেতে হচ্ছে তাঁকে?
কাকলি ফার্নিচার নামের ওই দোকানের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছিল ভিডিয়ো বিজ্ঞাপনটি। সেখানে দুটি ফুটফুটে শিশু কখনও দোকানের সোফার গদিতে লাফাচ্ছে, কখনও আরামাকেদারায় দোল খাচ্ছে। ভিডিয়োর শুরু থেকে শেষ বাজছে একটি ভয়েস ওভার। সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘দামে কম, মানে ভাল, কাকলি ফার্নিচার।’ আর তা মুহূর্তের মধ্যে সবার নজর কেড়ে নেয়, তুমুল ভাইরাল ও জনপ্রিয় হয় সেটি।
শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, এপার বাংলাতেও এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। আর এত জনপ্রিয়তাই এখন ওই প্রতিষ্ঠানের কাল হয়েছে। ‘আপনার গর্ব, পড়শির ঈর্ষা’-এই বিজ্ঞাপনই আজ কাকলি ফার্নিচারের (Kakoli Furniture) কাছে কঠিন বাস্তব।
‘কাকলি ফার্নিচার’ জনপ্রিয় হওয়ার পরে প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুকে একাধিক ভুয়ো আইডি এবং পেজ তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে কাকলি ফার্নিচার কর্তৃপক্ষ।এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সোহেল রানা গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে সোহেল রানার অভিযোগ, ‘অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ফেসবুকে আইডি ও পেজ তৈরি করেছে। আমার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা এই ধরনের কাজ করছে।’ এই কারণে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি হতে পারে, অন্যরা প্রতারতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
শ্রীপুর মডেল থানার আধিকারিক খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, অনেকেই ফেসবুকে কাকলি ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানটির নামে একাধিক আইডি ও ফেসবুক তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি, সাইবার টিমের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ আর এখন সব কিছু দেখে ‘দামে কম মানে ভালো, কাকলি ফার্নিচার’ নিজেই বিব্রত।