করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই নবাগতদের সুযোগ করে দিতে চাইছে তিন সংস্থা (Jobs in IT Sector)৷
Jobs in IT Sector: করোনা অতিমারির মধ্যে চাকরির বাজারে মন্দা৷ এরই মধ্যে সুখবর দিল ভারতের তিন বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা৷ চলতি অর্থবর্ষেই টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস, ইনফোসিস এবং উইপ্রো সম্মিলিত ভাবে ১ লক্ষেরও বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ করবে বলে খবর৷ মূলত কলেজ স্নাতক বা চাকরি ক্ষেত্রে নবাগত দেরই সুযোগ দেওয়া হবে বলে তিন সংস্থা সূত্রে খবর৷
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই নবাগতদের সুযোগ করে দিতে চাইছে তিন সংস্থা৷ চলতি অর্থবর্ষের শুরুতে কর্মী নিয়োগের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে পিছিয়ে ছিল এই সংস্থাগুলি৷ কিন্তু অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের পর সেই ঘাটতি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে৷
প্রথম তিন মাসেই তিন সংস্থা সম্মিলিত ভাবে ৪০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে উইপ্রো ১২ হাজার নতুন নিয়োগ করেছে৷ ইনফোসিস ৮৩০০ এবং টিসিএস ২০ হাজার নতুন চাকরি দিয়েছে৷
নিয়োগের ক্ষেত্রে তিন সংস্থার মধ্যে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে টিসিএস-ই৷ ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৪০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সংস্থা৷ টিসিএস-এর গ্লোবাল হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান দাবি করেছেন,
করোনা অতিমারির জন্য তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে থাকেনি৷ গত বছরও ৩ লক্ষ ৬০ হাজার চাকরিপ্রার্থী ভার্চুয়াল এন্ট্রান্স টেস্টে অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন টিসিএস-এর ওই শীর্ষ কর্তা৷
Read Morer : Government Medical College Recruitment: 1468 posts in six new medical colleges learn more |
ইনফোসিস-ও এই আর্থিক বর্ষে গোটা বিশ্বে ৩৫ হাজার কলেজ স্নাতককে চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে৷ মার্চ ত্রৈমাসিকের শেষে সংস্থার কর্মী সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৫৯ হাজার৷ জুন মাসের শেষে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার৷
এপ্রিল- জুন ত্রৈমাসিকে উইপ্রো ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে৷ চলতি অর্থবর্ষে আরও ৩০ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে এই সংস্থায়৷বর্তমান বাজারের অবস্থা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আশাবাদী৷
উইপ্রো চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি কয়েকদিন আগেই সংস্থার শেয়ার হোল্ডারদের লেখা চিঠিতে দাবি করে, অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিই প্রধান ভূমিকা নিতে চলেছে৷ তিনি এমনও দাবি করেছিলেন, যেভাবে ডিজিটাল নির্ভরতা বাড়ছে, তাতে চাহিদার তুলনায় কর্মী জোগান পাওয়া যাবে না৷