পৃথিবী গোল না সমতল? প্রাচীন কালের কিছু বিজ্ঞানীদের বক্তব্য! (Is the earth round or flat? Some ancient scientists said!)
প্রাচীনকালের মানুষ ধারনা করত যে, পৃথিবী হচ্ছে লম্বা চ্যাপ্টা রুটির মত এবং একদম সমতল।আগের দিনের মানুষ যানবাহন ব্যবহার করত না তাই তারা এমনটা ধরনা করেছিল। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে মানুষ যানবাহন ব্যবহার শিখে।অনেক উৎসুক লোক তাদের যানবাহন ব্যবহার করে পৃথিবীর শেষ কোথায় তা দেখার জন্য নৌকায় করে, গাধা,ঘোড়া বা উঠের পীঠে চড়ে, বের হতো পৃথিবীর শেষ সীমানা দেখার জন্য। কিন্তু তারা কেউই সফল হয়নি।
১৫২২ সালে বিখ্যাত ভু পর্যটক ম্যাগেলন বের হন পৃথিবীর শেষ সীমানা বের করার জন্য তাঁর বড় বড় পাঁচটি জাহাজ নিয়ে।তিনি তাঁর জাহাজগুলো নিয়ে সোজা পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করেন। যেতে যেতে দীর্ঘ ১৫৭ দিন পর তিনি ফিরে আসেন তাঁর নিজের বন্দরে।মানে যেখান থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি বুঝতে পারেন যে আমাদের পৃথিবী গোলাকার।কারন গোল না হলে তিনি তাঁর জাহাজগুলো নিয়ে একই বন্দরে নোঙ্গর করতেন না।
পৃথিবী কি গোল? গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটলও পৃথিবীর গোলাকার ছায়া দেখতে পান চন্দ্রগ্রহণের সময়। তিনি দেখেন চাঁদের উপর পৃথিবীর গোল ছায়া পরেছে। পরে ভূগোলবিদ এরাটোসথেনিস, ভারতীয় বিজ্ঞানী আর্যভট্ট এরিস্টটলের এই ধারনাকে স্মীকৃতি দেন। আবার দেখা যায় সূর্য যখন উদিত হয় এবং অস্ত যায় পৃথিবীর সবজায়গায় একই সাথে উদিত বা অস্ত যায় না। এ থেকেই বুঝা যায় আমাদের পৃথিবী চ্যাপ্টা না আমাদের পৃথিবী গোলাকার।
আবার আমরা দেখতে পাই জাহাজ যখন সাগরের দিকে যায়। তীর থেকে তাঁর পুরো অংশটিই দেখা যায়। কিন্তু জাহাজ যখন সাগরে দিকে যেতেই থাকে জাহাজটিকে মনে হয় যেন ঢুবে যাচ্ছে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ জাহাজটিই একসময় সাগরে ঢুবে যায়। কিন্তু আসলে জাহাজটি ডুবে যায় না পৃথিবী গোলাকার তাই এমনটি হয়ে থাকে। তবে হ্যা আমাদের পৃথিবীর আকৃতি উপরে ও নিচে কিছুটা চ্যাপ্টা। আমরা বলতে পারি আমাদের পৃথিবী অনেকটা কমলালেবুর মত। যাকে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে, জিওড।