মশা শুষ্ক এলাকায় থাকার দরুন মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর রক্ত পান করা শুরু করে। যখনই আবহাওয়া শুষ্ক থাকে এবং মশারা তাদের প্রজননের জন্য জল পায় না, তখন তারা মানুষ বা প্রাণীর রক্ত খেতে শুরু করে।
নিউ জার্সির প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা আফ্রিকার অ্যাডিস এজিপ্টি-এর মশা নিয়ে গবেষণা করেন। এই মশার কারণে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এর কারণেই ডেঙ্গু এবং পীত জ্বরও হয়।
নিউ সায়েন্টিস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে আফ্রিকার মশার মধ্যে নানান ধরনের এডিস এজিপ্টি মশা রয়েছে। সব মশা প্রজাতির মশা রক্ত পান করে না। তাঁরা অন্য কিছু খেয়ে বা পান করে বেঁচে থাকে।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নোহ রোজ জানিয়েছেন, কেউ এখনও বিভিন্ন প্রজাতির মশার ডায়েট নিয়ে গবেষণা করেনি। তিনি জানিয়েছেন, আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চলে ২৭ টি জায়গা থেকে এডিস এজিপ্টি মশার ডিম নেওয়া হয়।
এরপর এদের রক্ত পান করার ধরন বুঝতে ছেড়ে দেওয়া হয় একটি ল্যাব বক্সে। এরপরেই দেখা যায় বিভিন্ন প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি মশার খাবার সম্পূর্ণ ভিন্ন।
নোহ জানিয়েছেন, সমস্ত মশাই যে রক্ত খায়, এধারনা ভুল। যে অঞ্চলে বেশি খরা বা উত্তাপ রয়েছে বা জল কম রয়েছে সেখানকার মশাই রক্ত পান করে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রজননের জন্য আর্দ্রতার প্রয়োজন মেটাতেই তাঁরা রক্ত পান করে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিবর্তনটি কয়েক হাজার বছরে মশার অভ্যন্তরে এসেছে। পর পর শহর গড়ে উঠতে থাকায় বিশাল জলরাশি মশার কম পড়ায়, তাঁরা মানব দেহ ও অন্যান্য প্রাণী থেকে রক্ত খেতে শুরু করে।