Smart Update24,By Syed Mosharaf Hossain
Blue moon, Super Moon & Blood Moon তিনটি নাম হয়তো আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন। এগুলো হচ্ছে চাঁদের বিভিন্ন দশা। এবার একই রাতে একসাথে দেখা যাবে Blue moon, Super Moon & Blood Moon 151 বছর পর পর একসঙ্গে এই ঘটনা পৃথিবীর আকাশে দেখতে পাওয়া যায়। 2018 সালে 31 জানুয়ারি তে শেষবারের মতো এই বিরল ঘটনা ঘটেছিল। এরপর 151 বছর এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীবাসী দেখতে পাবে।
চন্দ্রগ্রহণের দিন সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় আসে । সূর্য আর চাঁদের মাঝে থাকে পৃথিবী। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ার কারণে পৃথিবী থেকে চাঁদকে আর দেখা যায় না মানে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। আর তখনই হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
যেদিন এ ঘটনাটি ঘটে সেদিন শুধু পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যে আরও অনেক অভিনব কিছু দৃশ্য। NASA চাঁদের এই দুর্লভ রূপ বদলের নাম দিয়েছে ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন’।
BLUE MOON: BLUE MOON নামে নীল চাঁদ হলেও নীল রঙের সঙ্গে এ চাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। একই মাসে দু’বার পূর্ণিমার চাঁদ দেখা গেলে দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় ব্লু-মুন।
সাধারণত সৌর বর্ষপঞ্জিতে বারোটি পূর্ণ চন্দ্র মাস সম্পন্ন হয়ে থাকে অর্থাৎ বারোটি পূর্ণিমা ঘটে। তবে সৌর মাসের তুলনায় চন্দ্রমাসে দৈর্ঘ্য কম। চন্দ্র মাস ২৯.৫ দিনে সম্পন্ন হয়। সাধারণ হিসেবে বলা যায়, চন্দ্র বছর সৌর বছরের তুলনায় গড়ে এগারো দিন কম হয়ে থাকে। এই অতিরিক্ত দিনগুলোর কারণে গড়ে প্রতি ২.৭ বছরে এমন একটি মাস পাওয়া যায় যখন একই মাসে দুইটি পূর্ণিমা ঘটে।নাম কেন ব্লু?
ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে “Once in a blue moon” যেটি বাংলাতে বলা হয় “অমাবস্যার চাঁদ”। এটি দুস্প্রাপ্য / দুর্লভ কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
মূলত ” BLUE MOON” নাম হওয়ার কারণ এটাই যে একই মাসে দুইবার পূর্ণিমা ঘটা খুবই দুস্প্রাপ্য / দুর্লভ।
সুপারমুন চাঁদের একটা দশা বা অবস্থান যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে তখন পৃথিবী থেকে চাঁদ কে তুলনামূলকভাবে অনেক বড় ও আরও উজ্জ্বল দেখায় তাই এই পূর্ণ গোলাকার চাঁদের সেই অবস্থানকে সুপারমুন বলা হয়।
বাংলায় একে অতিকায় চাঁদ ও বলা হয়।একই দিন সুপারমুন এবং চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় চাঁদ রক্তিম রং ধারণ করবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ার ফলে ওই সময় চাঁদে লাল বা কমলা রঙের আভা দেখা যায়। এই অবস্থাকে বলা হয় ব্লাড মুন।
সুপারমুন ও ব্লু মুন প্রায় সব জায়গা থেকে দেখা যাবে।তবে ব্লাড মুন সবথেকে ভালো দেখা যাবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ এবং সেন্ট্রাল ও ইস্টার্ন এশিয়ার দেশগুলোতে। তবে আফ্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই বিরল দৃশ্য বেশিরভাগ জায়গাতেই দেখা যাবে না।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।