পারস্য থেকে বিরিয়ানি খাবারটি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে মোঘল আমলে। এই খাবারটি ছিল তখনকার অভিজাত খাবার। রাজা বাদশাদের বিরিয়ানি পরিবেশন করা হত রুপোর পাত্রে লাল কাপড়ে মুড়িয়ে। বিরিয়ানি বর্তমানে অভিজাত শ্রেণি থেকে নেমে আসলেও, সেই ঐতিহ্য এখনও বজায় রেখে বিরিয়ানির হাঁড়িতে লাল কাপড় জড়ানো হয়।
আরো পোস্ট: International Journal এ স্বীকৃতি পেল এক বাঙালির আবিস্কৃত মহিলা সুরক্ষাকারী জুতা| পড়ুন বিস্তারিত |
আরেকটি মতবাদ হচ্ছে লাল হচ্ছে উষ্ণতা, অভিজাত্য, আনন্দ ও সৌন্দর্যের প্রতীক। আপনি দেখে থাকবেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। লাল পোশাকে মেয়েদের সুন্দর দেখায়। বিভিন্ন দরবার ও মাজারে লালশালু লাগানো হয়। হৃদয়ের রংকেও লাল দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একারণে লাল রংয়ের প্রতি সকল মানুষেরই ভাললাগার একটি অনুভূতি কাজ করে। তাই লাল রংয়ের প্রতি সহজে আকৃষ্ট হয়। সে কারণে খাবারের প্রতি আকৃষ্ট বাড়ানোর জন্য লাল রংয়ের কাপড়ে হাঁড়িগুলো মোড়ানো থাকে।
তৃতীয় যে মতবাদটি পেয়েছি সেটি হল, লাল রং অনেক দূর থেকে দেখা যায়। একারণে বিপদ সংকেত কিংবা ট্রাফিক সিগনালে লাল রং ব্যবহার করা হয়। ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরা যাতে দূর থেকেই দেখতে পারেন যে, এখানে খাবারের দোকান আছে এবং সাথে বিরিয়ানিও পাওয়া যাবে, তাই লালরংয়ের কাপড় দিয়ে পাতিলগুলো ঢেকে রাখা হয়।