রাজস্থানের ভানগড় ফোর্ট ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর ভূতুড়ে স্থান.
Contents
কথিত আছে, সপ্তদশ শতকে ভানগড়ে এক অপরূপ রাজকুমারী ছিলেন রাজকন্যা রত্নাবতী তিনি অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন.তার রূপে সবাই এতটাই মুগ্ধ ছিল যে নানারকম দেশ বিদেশ থেকে তাকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে.তার রূপের কথা সমস্ত দেশ বিদেশের নানারকম প্রান্ত থেকে সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে.
কিন্তু সেই সময় ঘটল এক অঘটন,
ওই ভানগড়েই বাস করতো সিংহিয়া নামক এক তান্ত্রিক. সে নানারকম কালাজাদুর অধিকারী ছিলেন..তার কু নজর পরলো রাজকুমারী রত্নাবতীর দিকে..সে রাজকুমারীর রূপে এতটাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলো যে সে এরপর রাজকুমারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো কিন্তু তার চেষ্টা বৃথা ছিলো,দূর্গের প্রহরীরা তাকে অপমান করে মারধর করে সেই দুর্গ থেকে তাড়িয়ে দেয়.এইরকম ভাবে অপমানিত হবার পর সে প্রচন্ড রেগে যায় এবং তারপর থেকে নানারকম জাদুবলে সে রাজকুমারী কে পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে.কিন্তু বারবার সে ব্যর্থ হয়.
তারপর একদিন রাজকুমারী তার বন্ধুদের সাথে বাজার যায় সুগন্ধি কিনতে কিন্তু সেটা সেই তান্ত্রিক জেনে যায় এবং সে রাজকুমারীকে পাবার একটা ভালো সুযোগ পায়.সে মন্ত্রবলে ওই সুগন্ধিতে এমন কিছু একটা মিশিয়ে দেয় যে ওই সুগন্ধিটা রাজকুমারী শরীরে মাখলেই সেই তান্ত্রিকের বশে হয়ে যাবে.এবং সে করলো সেটা.কিন্তু তারপরই হলো এক বড়ো সড়ো দুর্ঘটনা.
তার ওই কান্ড কারখানা এক নগরবাসী দেখে নেয় এবং সে গিয়ে রাজকুমারী কে সব বলে দেয় এবং এটা শোনার পর রাজকুমারী খুব রেগে যায় আর সেই সুগন্ধি টা দূর্গের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়.এরপর সেই সুগন্ধিটা এক বড়ো পাথরে লেগে ভেঙ্গে যায় এবং সেটা ওই পাথরটির গায়ে ছড়িয়ে পড়ে.এরপর কালোজাদুর কারণে সেই পাথরটি ওই তান্ত্রিকের দিকে আকর্ষিত হয় এবং সেই তান্ত্রিককে পিষে মেরে ফেলে.এরপর সেই তান্ত্রিক শেষ নিঃশ্বাস নিতে নিতে অভিশাপ দেয় যে ভানগড়ে কেউ বেঁচে থাকবেনা..ভানগড় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে..
এখানে ভবিষৎতে আর কেউ কখনো জন্ম নিতে পারবেনা.
হলোও তাই, এরপর কিছুদিনের মধ্যে মোগল যোদ্ধারা ভানগড় দূর্গ আক্রমণ করে এবং রাজা,প্রজা,সেনা সহ রাজকুমারী কেও নৃশংস ভাবে হত্যা করে. এবং ওখানের লোকমুখে শোনা যায় সেই মৃত মানুষের আত্মারা এখনও সেই দূর্গের আশেপাশে রাতে ঘোরাফেরা করে. এবং রাজকুমারীর নাচের আওয়াজ,তার চিৎকার এবং নৃশংস কান্নার আওয়াজ ওখানের অনেকে রাতের বেলায় শুনতে পেয়েছে. এবং সবচেয়ে বড়ো কথা রাতে ওখানে যে থেকেছে সে আর কোনোদিনো সকালের সূর্যটা দেখতে পায়নি.সে আর ফিরে আসেনি কোনোদিনো.