প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ (২৯শে জুন,১৮৯৩- ২৮শে জুন,১৯৭২) একজন বিজ্ঞানী এবং পরিসংখ্যানবিদ।
Prashant Chandra Mahlanabish: প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ (২৯শে জুন,১৮৯৩- ২৮শে জুন,১৯৭২) একজন বিজ্ঞানী এবং পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন। মহলানবীশ দূরত্ব নামক ধারণাটির জন্য এবং মুক্ত ভারতের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হওয়ায় তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ভারতে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বড় আকারের নমুনা জরিপের নকশায় অবদান রেখেছিলেন। তাঁকে ভারতে আধুনিক পরিসংখ্যানের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কেমব্রিজ, অক্টোবর ১৯১৩। এক বাঙালি কবি নোবেল পাবেন একমাস পরেই। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় অনার্স পাশ করে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ নামে বছর কুড়ির এক ঝকঝকে বাঙালি তরুণ সেখানে গিয়েছে পড়তে। ডাকসাইটে অঙ্কবিদ হার্ডি আবার আদর করে ডেকে নিয়ে গিয়েছেন মাদ্রাজ পোর্ট ট্রাস্টের এক করণিককে। প্রশান্তর চাইতে বছর চারেকের বড়। ভবিষ্যৎকাল তাঁকে জানবে ‘দ্য ম্যান হু নিউ ইনফিনিটি’ হিসেবেই।
লাজুক এবং শান্ত স্বভাবের রামানুজনের সঙ্গেও সখ্য গড়ে ওঠে প্রশান্তর। রামানুজনের কাছ থেকে প্রশান্ত জানেন ‘শূন্য’-কে হিন্দু দর্শনের নির্গুণ-ব্রহ্মের প্রতীক হিসাবে, ‘ইনফিনিটি’ বা ‘অসীম’-কে সমস্ত সম্ভাবনার সামগ্রিকতার সঙ্গে এক করে দেখতে, আর অন্য সকল সংখ্যাকে এই দুইয়ের গুণফল হিসেবে ভাবতে। ভবিষ্যতে অবশ্য দেশ ও জাতির উন্নয়নের সঙ্গে সংখ্যাকে সম্পৃক্ত করার মধ্যেই পূর্ণতা পাবে প্রশান্তচন্দ্রর লেগ্যাসি।
প্রশান্তচন্দ্র বিজ্ঞানী (Prashant Chandra Mahlanabish)। ভারতের রাশিবিজ্ঞানের ভগীরথ। তাঁর রাশিবিজ্ঞানের শিক্ষা অবশ্য একেবারেই একলব্যের মতো। গুরুহীন। মহাযুদ্ধের জন্যে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার জাহাজ দেরি করছিল ছাড়তে। সে সময়ে লন্ডনের কিংস কলেজের গ্রন্থাগারে এক টিউটর তাঁকে ধরিয়ে দেন কার্ল পিয়ার্সনের ‘বায়োমেট্রিকা’। ন’খণ্ডের বইটি কিনে নিয়ে জাহাজে উঠে পড়লেন প্রশান্ত। সেই তো শুরু। দেশ আর সমাজের কল্যাণে ভাগীরথীর প্রবাহ-নির্দেশ চলবে পরবর্তী আধ শতাব্দীর বেশি।
তাঁর গবেষক-সত্তা ছাপিয়ে প্রকাশিত হয়েছে এক অ্যাকাডেমিক নেতা, এক সুদক্ষ প্রশাসক, এক দূরদর্শী জহুরি। একসঙ্গে। যা তৈরি করে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট বা আইএসআই। সেই সঙ্গে গড়ে তোলে ভারতের স্ট্যাটিস্টিক্যাল পদ্ধতি-প্রকরণ, আন্তর্জাতিক মহলে সমীহ-জাগানো এক ঝাঁক উজ্জ্বল গবেষক, আর এ দেশে দীর্ঘস্থায়ী এক বিশ্বপর্যায়ের স্ট্যাটিস্টিক্যাল লেগ্যাসি, যার সুফল ভোগ করে চলেছি আমরাও। আমার কাছে প্রশান্তচন্দ্রের এই দ্বিতীয় সত্তাটাই মহত্তর। জাতির জীবনে তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান। এটাই তাঁকে স্মরণ করাবে দীর্ঘদিন। তাঁর দু’শো বছরও ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্যাপন হবে এর জন্যেই।
ব্যক্তি প্রশান্তকে আমরা যখন পর্যালোচনা করব, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর অনাবিল নিবিড় যোগসূত্রকে আনতেই হবে আলোচনায়। রবীন্দ্রনাথ যখন ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরাজি অনুবাদ-সহ লন্ডনে যান, ১৯১২ সালে, সেখানে উপস্থিত সুকুমার রায়, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ, কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নবীন প্রজন্মের বাঙালি যুবকরা। রদেনস্টাইনের বাড়িতে এদের একাধিক জমায়েতের বিবরণ রয়েছে। তারপর, প্রশান্তর সঙ্গে রবীন্দ্রের যোগসূত্র সময়ের সঙ্গে দৃঢ় হয়েছে মাত্র।
১৯১৯-এ নোবেলজয়ী কবি চিঠি লিখলেন লর্ড চেমসফোর্ডকে, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে। তখনও প্রশান্ত কবির পাশে। দুইয়ের দশক জুড়ে রবীন্দ্রনাথের অনেক বিদেশ সফরে প্রশান্তচন্দ্র তাঁর সঙ্গী এবং সচিব। কবির জীবনের একেবারে শেষপ্রান্তেও দেখি প্রশান্ত ও তাঁর স্ত্রী রাণীর প্রতি রবি-কবির ‘দিনের অন্তে বিরল ভাষার আশীর্বাণী’, যাতে লেগে রয়েছে ‘রবির স্নেহের স্পর্শ’ । মহলানবিশ দম্পতির সঙ্গে এক বিরল আত্মিক সম্পর্কে জড়িয়ে থেকেছে কবীন্দ্রর জীবনের উত্তর-পর্ব। আর সেই সংযোগ প্রশান্তর জীবন পথেও জোগান দিয়েছে এক অনাবিল আলোর স্নিগ্ধ দিশা। নিঃসন্দেহে।
রাশিবিজ্ঞানের হাঁটি-হাঁটি-পা-পা-র দিনে, তার গড়ে ওঠা অনেকটাই তথ্য এবং সংখ্যা-নির্ভর গবেষণার ফসল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের জন্যে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল সাহায্য চাইলেন চব্বিশ বছরের তরুণ প্রশান্তর। ১৯১৭-তে। সেটাই ভারতে রাশিবিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রথম আধুনিক কাজের প্রস্তাবনা।
বছর তিনেক পরে জুলজিক্যাল অ্যান্ড অ্যানথ্রোপলজিক্যাল সার্ভের তৎকালীন অধিকর্তার কাছ থেকে পাওয়া কলকাতার কিছু অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রশান্ত খোঁজার চেষ্টা করেন এদের সঙ্গে বাংলার কোন জাতির বেশি মিল– হিন্দু না মুসলমান। এ বিষয়ে পরবর্তী দেড় দশকের গবেষণা ক্রমে পরিণতি দেয় ‘মহলানবিশ ডি-স্কোয়ার্ড স্ট্যাটিসটিক’-এর। বিজ্ঞানী মহলানবিশ আজও সবচেয়ে বেশি পরিচিত এর জন্যে। আন্তর্জাতিক মহলে।
More: Read The Full Article Now To Know Some Unknown Facts About Some Of The Best People In The World
প্রেসিডেন্সি কলেজে মহলানবিশ প্রতিষ্ঠা করেন স্ট্যাটিস্টিক্যাল ল্যাবরেটরি, যার গণ্ডির মধ্যেই রেজিস্টার্ড সোসাইটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের (Indian Statistical Institute), ১৯৩১ সালে। আইএসআই-এর লোগো-তে রয়েছে এক বিশাল বটবৃক্ষ। ভারতের রাশিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আইএসআই-ও যেন তেমনই। লোগোতে সংস্কৃতে লেখা ‘ভিন্নেষ্বৈক্যস্য দর্শনম্’। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে, এক অনন্য মডেলে ভারতে গড়ে উঠেছে রাশিবিজ্ঞানের সংস্কৃতি। একেবারে নিজস্ব। একে সৃষ্টি করেছেন, বহু যত্নে লালন করেছেন অধ্যাপক মহলানবিশ।
দু’বছর বাদেই রাশিবিজ্ঞানের ভারতীয় জার্নাল ‘সংখ্যা’-র স্থাপনা। প্রথম খণ্ডের সম্পাদকীয়তে অথর্ববেদ, অমরকোষ আর গীতার উল্লেখ করে মহলানবিশ বর্ণনা করেন ‘সংখ্যা’-র দ্বৈত-অর্থ—‘নিখুঁত জ্ঞান’ এবং ‘অঙ্ক’ (নাম্বার)। সংখ্যা এবং তার বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাস্তব সম্পর্কে নিখুঁত জ্ঞান অর্জনই রাশিবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য। সে সময়ে এরকম জার্নাল শুরু করাটা এক দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। জাতির বিজ্ঞান-চেতনায় সে এক বিপ্লব!
প্রশান্তচন্দ্র (Prashant Chandra Mahlanabish) উনিশ শতকের বাংলার রেনেসাঁরই ফসল। জীবনের নানা বিষয় আর সমস্যা থেকেই গড়ে ওঠে তাঁর রাশিবিজ্ঞানের ধারণা, তত্ত্ব, এবং ব্যবহার। নৃতত্ত্ব, ভাষা চর্চা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বড় নমুনা জরিপ, প্ল্যানিং, কৃষি, জাতীয় আয়, তথ্যপ্রযুক্তি, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, সমাজবিদ্যা, জেনেটিক্স– কী নয়! রাশিবিজ্ঞান তাঁর কাছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো এক প্রয়োগবিদ্যা, যা গণিত থেকে তত্ত্ব ধার করেও হয়ে ওঠে এক স্বতন্ত্র বিজ্ঞান।
প্রশান্তচন্দ্র (Prashant Chandra Mahlanabish)রাশিবিজ্ঞানের দর্শনের মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান ও সমাজ চেতনার অনুষঙ্গ। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র আর আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরী-তে পরিসংখ্যানের অনাবিল প্রয়োগ দেখেছেন প্রশান্তচন্দ্র। তিনি সঠিক পরিসংখ্যানগত চিন্তাধারার সূত্র খুঁজে পান চতুর্থ শতাব্দীর জৈন দার্শনিক ভদ্রবাহুর যুক্তির বিন্যাসের মধ্যেও।
মহলানবিশ পরিচালনা করেছেন প্রচুর বড়মাপের নমুনা সমীক্ষা। সেই অভিজ্ঞতাই হয়তো ভবিষ্যতে এনএসএসও-এর জন্ম দেয়। জাতীয় পরিকল্পনায় মহলানবিশের অবদান যুগান্তকারী। সেই কবে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসের প্ল্যানিং কমিটি বানিয়েছিলেন জওহরলালকে চেয়ারম্যান করে। নেহরু প্রশান্তচন্দ্রকে অনুরোধ করেন রিপোর্টের পরিসংখ্যানগত অংশটুকু লেখার জন্যে। নেহরুর সঙ্গে মহলানবিশের এই সুসম্পর্ক পরবর্তীকালে প্রবাহিত হয়েছে সদ্য-স্বাধীন নবীন রাষ্ট্রের পরিকল্পনার দিক-নির্দেশে।
দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার রূপকার প্রশান্তচন্দ্র। তাঁর দুই-সেক্টর আর চার-সেক্টর মডেল কেউ পছন্দ করেছে, কেউ বা করেছে সমালোচনা। এই মডেলে কিন্তু প্রশান্তর সোশ্যালিস্ট চিন্তাধারার ছাপ স্পষ্ট।
অন্তর্জাল-হীন সে যুগে বিজ্ঞান-চেতনা বিস্তারে কনফারেন্সের প্রভাব অনুভব করে ১৯৩৮-এ ভারতে রাশিবিজ্ঞানের প্রথম কনফারেন্সের আয়োজন করেন মহলানবিশ। কলকাতায়। চার বছর পরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে অধ্যায় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় গণিত এবং রাশিবিজ্ঞান। প্রশান্তচন্দ্রের উদ্যোগেই। তার তিন বছর পরে রাশিবিজ্ঞানের আলাদা অধ্যায়। (অবশ্য দেড় দশকের বেশি হল সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা রাশিবিজ্ঞানের আলাদা অধ্যায়কে উঠিয়ে দিতে পেরেছেন সায়েন্স কংগ্রেস থেকে!)
আইএসআই-এর মতো রাশিবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠানে জীববিদ্যা, ভূবিদ্যার মত বিভাগ স্থাপন করলেন মহলানবিশ। আজ আলাদা বিষয়ের বিজ্ঞানীদের যৌথ গবেষণা-কালচারের ঢল পৃথিবীময়। সেই কবে বিভিন্ন বিষয়ের বিজ্ঞানীদের এক ছাতার তলায় এনে রাশিবিজ্ঞানের বিকাশই হয়তো উদ্দেশ্য ছিল মহলানবিশের। আইএসআই-এর ভূবিদ্যা বিভাগের এক যুগান্তকারী সাফল্য ১৯৬১-তে– গোদাবরী উপত্যকায় খনন করে ১৬০ মিলিয়ন বছর আগেকার ডাইনোসরের কঙ্কালের জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া। ডাইনোসরটির পা ছিল বেশ বড়, আর সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকী। তাই এর নাম দেওয়া হয় ‘বড়পাসরাস টেগোরি’।
আজও আইএসআই-এর অন্যতম প্রধান দর্শনীয় জিনিস ডাইনোসরটি।প্রশান্তচন্দ্র ছিলেন এক স্বপ্নদর্শী নেতা। স্বপ্নের বিকাশে এবং সে প্রয়োজনে বাস্তবের ডানা ছড়াতে তিনি যুগের পথিকৃৎ। জাতিকে তা এগিয়ে দেয় কয়েক কদম। যেমন, ছ’দশক আগেই উন্নত গণনার প্রয়োজনে আইএসআই আমদানি করে ফেলল ভারতের প্রথম কম্পিউটার।
সে যুগে রাশিবিজ্ঞান ছিল এক নতুন গবেষণা-ক্ষেত্র। মহলানবিশ তাকে সম্পৃক্ত করলেন দেশের উন্নতি আর প্রগতির সঙ্গে। এ এক অনন্য কৃতিত্ব। সে জন্যে চাই সাহস, অদম্য জেদ, এক ভবিষ্যৎ দৃষ্টি। আর অবশ্যই অ্যাডভেঞ্চারের মানসিকতা। সঙ্গে দৃঢ় দুর্দমনীয় ব্যক্তিসত্তা। রাল্ফ ওয়াল্ডো এমার্সন না বলেছিলেন যে একটা প্রতিষ্ঠান আসলে এক ব্যক্তির দীর্ঘ ছায়া? ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের চাইতে এ কথার বেশি প্রযোজ্য উদাহরণ খুঁজে পাচ্ছি না ভারতে।
মহলানবিশকে পদ্মভূষণ দেওয়া হয়েছিল ১৯৬৮-তে, ‘বিজ্ঞান এবং দেশের সেবায় অবদানের জন্যে’। বিজ্ঞান-সাধনা আর দেশসেবা বোধ করি সম্পৃক্ত হয়েছিল মহলানবিশের জীবনব্যাপী প্রয়াসের মধ্যে। দুইয়ের দশকে রাশিবিজ্ঞানের সাহায্যে উড়িষ্যার বন্যার কারণ নির্ণয় কিংবা তিনের দশকে বাংলার পাটশস্যের পরিমাণ নিরূপণে যার সূত্রপাত, ভারতে এক পরিণত রাশিবিজ্ঞানের কালচার তৈরি করার মধ্যে তার চূড়ান্ত পরিণতি।
মানবকল্যাণে এবং জাতির পরিকল্পনা নির্দেশনে যা সাহায্য করে যেতে পারবে যুগের পর যুগ ধরে। এ প্রসঙ্গে মনে করা যেতে পারে যে, ১৯৫০-এর পুনা সায়েন্স কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহলানবিশের বক্তৃতার শিরোনামই ছিল– “হোয়াই স্ট্যাটিস্টিক্স?” প্রশ্নটার আসল উত্তর লুকিয়ে আছে, তাঁর সারা জীবনের কর্মকাণ্ডেই।