ভদ্রলোকের নাম অখিল চন্দ্র সেন (Okhil Chandra Sen)। পেট ভরে কাঁঠাল খেয়ে ট্রেনে চেপে যাওয়ার সময় পেট ফেঁপে ওঠায় সে বাধ্য হয়ে স্টেশনের শৌচালয়ে যান।
শৌচালয়ে থাকার সময়েই তিনি ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার হুইসল শুনতে পান। কোনরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে ছুটলেন ট্রেন ধরতে। ট্রেন থামানোর জন্য হাত তুলে ট্রেনের গার্ডকে ইশারা করেন। একহাতে লোটা, অন্যহাতে ধুতি সামলে ছুটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন লোকভর্তি প্ল্যাটফর্মের ওপর। চোখের সামনে দিয়ে ট্রেন বেরিয়ে গেল। ক্ষুব্ধ, অপমানিত অখিল চন্দ্র সেন স্টেশন ত্যাগ করলেন।
কয়েকদিন পর বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে তিনি উল্লিখিত চিঠি লিখলেন সাহেবগঞ্জ ডিভিশনাল রেলওয়ে অফিসে। এমনকি জনস্বার্থে ওই গার্ডের কাছ থেকে বড়সড় জরিমানা আদায়ের কথাও বলেন, না হলে সংবাদপত্রে সবকথা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দেন।
আরো পোস্ট: Howrah Bridge এর দাম জানতে ক্লিক করুন | জানুন বিস্তারিত |
ইংরেজি ব্যাকরণগত ভুলে লেখা চিঠিটি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। যার জেরে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় রেলওয়ে চালু হওয়ার বহু বছর পরে ট্রেনের মধ্যে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়।
ঘটনাটি ১৯০৯ সালের। কখনো যদি ট্রেনে চড়াকালীন পেট হালকা করার জন্য টয়লেটের আশ্রয় নিতে হয় আপনাকে, তাহলে ওই ভদ্রলোককে একবার অন্তত মনে মনে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। এই চিঠিটি স্মারক হিসেবে দিল্লীর রেল মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।