HomeGovt Schemesবিশিষ্ট গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিদ জর্জ সাইমন ওহম স্মরণে,

বিশিষ্ট গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিদ জর্জ সাইমন ওহম স্মরণে,

WhatsApp Group Join Now
Instagram Profile Join Now
YouTube Channel Subscribe

বিশিষ্ট গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিদ জর্জ সাইমন ওহম স্মরণে(In memory of eminent mathematician and physicist George Simon Ohm)Georg Simon Ohm Biography in Hindi 1 1


Smart Update24,By Syed Mosharaf Hossain: আঠারশ শতকের শেষদিকে ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ দক্ষিণ জার্মানির এরলাঙ্গেন শহরে জন্ম গ্রহণ করেন জর্জ সাইমন ওহম । পিতা ইয়োহান ওলফগ্যাং ওহম ছিলেন একজন তালা সারানোর মিস্ত্রি এবং মা মারিয়া এলিজাবেথ ছিলেন একজন দর্জির মেয়ে ।
প্রথাগত শিক্ষায় বাবা কিংবা মা কেউ শিক্ষিত ছিলেন না। কিন্তু ইয়োহান ওলফগ্যাং ওহম নিজে নিজেই বেশ কিছুটা পড়াশোনা আয়ত্ত করেছিলেন । সাতজন ছেলেমেয়ে ছিলো এই দম্পতির । এর মধ্যে মাত্র তিনজন বেঁচেছিলেন বাকিরা অল্পবয়সে মারা যান । যারা বেঁচেছিলেন তারা হলেন আমাদের আজকের লেখনীর মুখ্য চরিত্র জর্জ সাইমন ওহম, মার্টিন ওহম, এবং এলিজাবেথ বারবারা । সাইমনের ভাই মার্টিন ওহম ও পরবর্তী কালে গণিত বিষয়ে বেশ পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন । তিনি মূলত এক্সপোনেন্সিয়াল তত্ত্বের বিকাশের এর উপর কাজ করেছিলেন ।


জর্জের পড়াশোনা শুরু হয়েছিল পিতার কাছ থেকে । পিতা তাকে ও তার তিন বছরের ছোট ভাই মার্টিনকে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষা দিতেন । পরিবারের অভাবের কারণে কখনো সখনো তাকে পিতার সাথে কাজও করতে হতো । এইভাবে তিনি বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ করার বেশ ভালো সুযোগও পেতেন ।
জর্জ কে ১৬ বছর বয়সে এরলাঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয় । সেখানে তিনি বিজ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলাতে রীতিমত ব্যস্ত হয়ে পড়েন । ঘটনার কথা জানতে পেরে পিতা বুঝতে পারেন যে জর্জ বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে সরে যাচ্ছে । তাই তিনি সেখান থেকে জর্জ কে সুইজারল্যান্ডে পাঠিয়ে দেন ।
১৮০৬ সালে তিনি গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন গোটস্টাড বেই নিডাই স্কুলে ।


১৮০৯ সালে হেইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে কার্ল ক্রিস্টিয়ান ফন লাংসডর্ফ তাকে নিজের মতো করে গণিত চর্চা করতে বলেন, এবং সেই সঙ্গে অয়লার, লাপ্লাস প্রমুখদের গবেষণাপত্র পড়তে নির্দেশ দেন । জর্জ ওনার কথামত গণিতের চর্চা চালিয়ে যান। পরে তিনি নিউটাশেলে প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তী দুই বছর ওই কার্য চালিয়ে যান ।
১৮১১খ্রিস্টাব্দে তিনি পুনরায় এরলাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন । ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ই জুলাই মিউনিখে ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন । 1827 সালে ওহম তার বিখ্যাত বই “ডাই গালভানিস কেটে” তে প্রথম তাহার তড়িৎ প্রবাহ সম্পর্কে প্রথম গবেষণা লব্ধ তথ্য প্রকাশ করেন। এখানেই তিনি তাঁর বিখ্যাত ওহমের সূত্র ব্যাখ্যা করেন এবং তিনি বলেন একটি তড়িৎ প্রবাহী সার্কিটের যেকোনো দুটি অংশের মধ্যে যে তড়িৎ প্রবাহী বল কাজ করে তা আসলে সেই সার্কিটের অংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ এবং সেই সার্কিটের অংশটির রোধের গুণিতক। যদিও তার এই বইটি সেই সময়ে একেবারেই বিখ্যাত হয়নি।

Group Cards
Google News View Now

এছাড়াও ওহম আবিষ্কার করেছিলেন “ওহমস একুষ্টিক ল” যা পরবর্তীকালে বাতিল হয় যদিও সেই সময়েও এই সূত্রটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ওহম এর মৃত্যুর ১০ বছর পর ১৮৬৪ সালে ব্রিটিশ সায়েন্টিফিক অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিযুক্ত একটি কমিটি তড়িৎ পরিমাপের ক্ষেত্রে রোধের একক হিসেবে ওহম নির্বাচিত করে, এবং সংকেত হিসেবে গ্রীক অক্ষর ওমেগা কে নেওয়া হয়।


 

 

WhatsApp Group & Google News Flow
WhatsApp Group Join Now
Google News View Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular