Khela Hobe Rice: বর্ধমানের বাজারে ‘খেলা হবে’ চাল,
Bardhaman Khela Hobe Rice: রাজনীতির আঙিনা ছেড়ে এবার গেরস্থের হেঁসেলে ‘খেলা হবে’। সেই নামেই বর্ধমানের বিখ্যাত মিনিকেট চাল বাজারজাতও করছেন এক ব্যবসায়ী দম্পতি।খেলা হবে। খেলতে খেলতে রান্না হবে। খাওয়া হবে।
এ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে এবার খেলা হবে যোগী রাজ্যে। রাজনীতির আঙিনা ছেড়ে এবার গেরস্থের হেঁসেলে ‘খেলা হবে’। সেই নামেই বর্ধমানের বিখ্যাত মিনিকেট চাল বাজারজাতও করছেন এক ব্যবসায়ী দম্পতি।
তাদের বক্তব্য, প্রতিকূলতার মধ্যে জয় হাসিলের আরেক নাম খেলা হবে। ব্যবসায়িক নানান প্রতিকূলতা সামলে লক্ষ্যে পৌঁছনোর অনুপ্রেরণা পেতেই খেলা হবে ব্র্যান্ড সামনে রেখে এগিয়ে চলা(Khela Hobe Rice)। যে স্লোগানকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস আগে বাংলা থেকে দিল্লি উত্তাল হয়ে উঠেছিল, সেই খেলা হবে নামে এবার বর্ধমান জেলায় তৈরি হচ্ছে মিনিকেট চাল। কার্যত রাজনীতির আঙিনা থেকে খেলা হবে নামে স্লোগান এখন গেরস্থের হেঁসেলে দিব্যি বিরাজ করছে।
বিধানসভা নির্বাচনে এই খেলা হবে স্লোগান ছিল তৃণমূল বিজেপি দু’দলের মুখেই। নির্বাচনের ময়দানে পা ভাঙে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর পায়ে ব্যাণ্ডেজ লাগানো হয়। তিনি সেই ভাঙা পা নিয়েই হুইল চেয়ারে প্রচারে বের হন। তৃণমূল শিবিরও প্রচারে নেমে পড়ে ভাঙা পায়েই খেলা হবে স্লোগানকে সামনে রেখে । সেই খেলায় শেষমেশ জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
বর্ধমানের চাল ব্যবসায়ী অরিন্দম কুন্ডু ও তাঁর স্ত্রী তনয়া স্পষ্টই বলছেন, আমরা দিদির অনুগামী। দিদি ভাঙা পা নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই খেলা হবে স্লোগান আমাদের কাছে অনেক বেশি অনুপ্রেরণার। এই ব্যবসায় অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। খেলা হবে স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা এই খেলায় জয়ী হবই, এই আত্মপ্রত্যয় নিয়েই এগিয়ে যেতে চাইছি। জেলায় তো বটেই রাজ্যজুড়ে আমাদের এই চালের চাহিদা বাড়ছে। এবার গুনমান বজায় রেখে উত্তর প্রদেশ-সহ অন্য রাজ্যেও পৌঁছে যেতে চাইছি আমরা।
রাজ্যের শস্যভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলা। দেশের অন্যতম ধান উৎপাদক জেলাগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য বর্ধমান। এ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে বর্ধমানের চাল প্রশংসা কুড়িয়েছে মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদের। এবার খেলা হবে মিনিকেট চাল তার পসার জমাতে চাই উত্তরপ্রদেশে। সেখানের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই হেঁসেলে হেঁসেলে খেলা হোক চাইছেন বর্ধমানের ব্যবসায়ী দম্পতি।