Smart Upadte24,By Syed Mosharaf Hossain
আচ্ছা এইযুগে এমন কেউ কি আছেন যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। আট থেকে আশি, আজ আমরা সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি। এটা আসলে এখন আমাদের জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। এককালে মোবাইল ফোন ছিলো আকারে অনেক বড় আর এন্টেনা ওয়ালা। কালে কালে পরিবর্তন আসতে আসতে এখন কি কি না হয় মোবাইল ফোন নিয়ে! এখন কথা বলবো ইমপ্ল্যান্ট্যাবল মোবাইল ফোন নিয়ে।
কাউকে যদি বলা হয়, মোবাইল ফোন ছাড়া ২৪ ঘন্টা থাকা যাবে? চিন্তা করতেই অসম্ভবব লাগে। মোবাইল ছাড়া আমাদের চলেই না। তাই প্রযুক্তির কল্যাণে আপনার মোবাইল থাকবে আপনার আরো কাছে। একেবারে আপনার শরীরের ভিতর ইমপ্ল্যান্ট করা। অবিশ্বাস্য লাগছে! মনে হচ্ছে বিজ্ঞান এই সব কি পাগলামী শুরু করলো! আসলে এটাই সত্যি।
ইমপ্ল্যান্ট্যাবল সেল ফোনের প্রোটোটাইপ ডিজাইন প্রথম করা হয় ২০০২ সালে লন্ডনের রয়েল কলেজ অফ আর্ট এ। মূলত তাদের চিন্তাভাবনা ছিলো এরকম যে, একটা ইমপ্ল্যান্ট্যাবল চিপ যেটা মানুষের দাতের সাথে সংযুক্ত থাকবে। এর মধ্যে একটা রিসিভার থাকবে যেটা দিয়ে মোবাইল ফোন সিগন্যাল রিসিভ করবে চিপ টি। আর ছিলো একটা ট্রান্সডিউসার যা রিসিভড সিগন্যাল কে ভাইব্রেশনে রুপান্তর করবে। কিছুটা নিচের ছবির মতঃ
ছবির এই কনসেপ্ট ধরেই আজ টেকনোলজী এক অভাবনীয় বস্তু বানাতে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের দিকে এমন একধরণের মোবাইল আসতে চলেছে যা মানুষের মাথায় বসিয়ে দেয়া যাবে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এটা কিভাবে কাজ করবে? জেনে নেয়া যাকঃ
বর্তমান সময়ের মোবাইলগুলোতে এক্সিলারোমিটার থাকে যা গতিবিধি আর বল পরিমাপ করতে পারে। এক্সিলেরোমিটার পিজো ইলেকট্রিক ক্রিস্টাল বহন করতে পারে এবং একে চোয়ালের হাড়ে বসানো যেতে পারে। ফলে চোয়ালের গতিবিধি নির্ণয় করতে পারবে। যখন মানুষের মাথা নড়ে তখন চোয়াল ও নড়বে। মোটকথা, পিজো ইলেকট্রিক ক্রিস্টাল এর মাধ্যেম ডিভাইসটা চোয়ালের গতিবিধি নির্ণয়ের মাধ্যেম মাথার গতি নির্ণয় করছে। এতে করে ইলেক্ট্রিক পালস এর শেইপ পরিবর্তন হবে। এইভাবে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কি প্যাডে ১,২,৩ নাম্বার ডায়াল হবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোন অপারেশন নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহারকারীকে মাথা আর চোয়ালের গতিবিধি সম্পর্কে একটু শিখে নিতে হবে। অঙ্গচালনা করলে যে ইলেক্ট্রিক ইমপালস তৈরী হয় তা ফোনের মাইক্রোপ্রসেসর এ গিয়ে প্রসেস হয়। ধরুণ আপনি ১০ ডায়াল করতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ১০ বার অঙ্গচালনা করতে হবে।
এই পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে আপনার ফোন সর্বদা আপনার ই থাকলো। কোনোভাবেই ফোন চুরি হয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি অন্য কেউ নিয়ে নিতে পারবে না। তবে এক্ষেত্রে ফোন রেডিয়েশন, ম্যাল-ফাংশান মানুষের শরীরের উপর কি কি প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এর ব্যবহার কিভাবে আরো সহজ করা যায় সেটা নিয়েও কাজ চলছে। মোটামুটি ২০২৩ সালের দিকেই এই আজব মোবাইল ফোনের দেখা মিলবে ধারণা করা যায়।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।