Durgapur Barrage: জল ছাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজ, পূর্ব বর্ধমানের কোন কোন ব্লকে সর্তকতা জারি দেখে নিন
Durgapur Barrage: দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে শনিবার জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ায় পূর্ব বর্ধমানের বেশ কয়েকটি ব্লকে বন্যার সতর্কতা জারি করা হল। জামালপুর, রায়না ২, খণ্ডঘোষ এবং গলসির একাংশে দামোদরের জল ছাড়া নিয়ে বিডিওদের তত্ত্বাবধানে মাইকিং করে এলাকাবাসীদের সতর্ক করা হয়। বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় গলসি ১ ও ২-এর কিছু এলাকা, খণ্ডঘোষ, রায়না ২ এবং জামালপুর ব্লকে দামোদর তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন,
“শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ডিভিসি থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ধাপে ধাপে এই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। বিকেল নাগাদ তা ১ লক্ষ ৫০ থেকে ৭০ হাজার কিউসেক পর্যন্ত জল ছাড়া হতে পারে।” কিন্তু শনিবার দুপুর থেকেই জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। দুপুর ১টা নাগাদ ১ লক্ষ ১৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে কিছুটা স্বস্তি মিললেও গোটা পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
জেলায় শনিবার পর্যন্ত ৮০টি কাঁচা বাড়ির সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০টি বাড়ির। ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলায় প্রায় ১০২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং প্রায় ৯০০ মৌজা। এ ছাড়া প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩৫০ হেক্টর সব্জি চাষের জমিও রয়েছে। বাকি সব জমিই আমন ধানের।
Read More: অদ্ভুত এক ধরনের কাপ আবিষ্কার করে কোটিপতি হয়ে ছিলেন যিনি- Mustache cup
জেলাশাসক জানিয়েছেন, জলবন্দি হয়ে পড়ায় গোটা জেলায় প্রায় ৪ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রায়েছে বর্ধমান পুর এলাকারই ২ হাজার মানুষ। প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্গতদের পানীয় জল, শুকনো খাবার এবং ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোথাও কোনেও অসুবিধা নেই। বিডিওরাই সংশ্লিষ্ট এলাকায় দুর্গতদের শুকনো খাবার সরবরাহ করছেন।
পরে বিকেলে দামোদর তীরবর্তী গ্রামের মানুষজনের সার্বিক অবস্থা সরেজমিনে দেখতে জামালপুরে যান মহকুমা শাসক ( বর্ধমান দক্ষিণ) কৃষ্ণেন্দু কুমার। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, বিধায়ক আলোক মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান এবং কর্মাধ্যক্ষদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দামোদর তীরবর্তী নীচু এলাকাএবং ফেরিঘাটগুলি ঘুরে দেখেন। ভরা দামোদরে সন্ধ্যায় খেয়া পারাপারে বিপদের ঝুঁকি থাকায় নদী পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক।