Smart Update24,By Syed Mosharaf Hossain
আপনি কি নতুন ল্যাপটপ কিনতে চান?? ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি দেখবেন পড়ুন বিস্তারিত:-
PROCESSOR : ল্যাপটপ কিনার পূর্বে আপনি নিশ্চিত হয়ে নিন যে ঠিক কি কাজের জন্য আপনি ল্যাপটপটি কিনতে যাচ্ছেন। কেননা আপনার কাজের ধরনের উপরই প্রসেসর এর মান নির্ধারণ করতে হবে। যেমন আপনি যদি নিত্য দিনের কিছু অল্পস্বল্প কাজ যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং বা কম্পিউটারে মুভি দেখতে চান বা অফিসের কিছু কাজ করতে চান তাহলে আপনার জন্য ডুয়েল কোর অথবা কোর আই থ্রি প্রসেসর যথেষ্ট। মনে রাখবেন প্রসেসর এর ক্ষমতা যত বেশি হবে ল্যাপটপ এর দামও তত বেশিই হবে। কিন্তু যদি আপনি ল্যাপটপ এ গ্রাফিক্স এর কাজ করতে চান কিংবা এইচডি গেম খেলতে চান তাহলে আপনার আর উন্নত প্রসেসর এর দরকার হবে। যেমন কোর আই 5, কোর আই 7 ইত্যাদি।
RAM: যদি আপনি অল্প-স্বল্প কাজের জন্য ল্যাপটপটি কিনছেন তাহলে 2GB থেকে 4GB RAM আপনার জন্য যথেষ্ট তবে আপনি যদি খুব হাই গ্রাফিক্সের গেম বা ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্সের কাজ করে থাকেন তার জন্য তার জন্য আপনাকে 16 জিবি RAM হলে খুব ভালো হয়।
DISPLAY/SKIN : স্ক্রিন যত বড় হয় তত ভালো। এক্ষেত্রে আপনি 15” স্ক্রিনের ল্যাপটপ নিতে পারেন। তবে আপনার যদি খুব বেশি যাতায়াত এর প্রয়োজন পড়ে তাহলে 13” কিংবা 14” ল্যাপটপও নিতে পারেন। এদিক দিয়ে এলসিডি ডিসপ্লে এর তুলনায় এলইডি ডিসপ্লেই ভালো।
সাইজ: 11 থেকে 12 ইঞ্চি – এ সাইজের ল্যাপটপগুলো সবচেয়ে হালকা ও পাতলা হয়। এগুলোর ওজন সাধারণত 2.5 থেকে 3.5 পাউন্ড হয়ে থাকে। 13 থেকে 14 ইঞ্চি – বহনযোগ্যতা ও ব্যবহারযোগ্যতার দিক থেকে এই সাইজের ল্যাপটপগুলো সর্বোত্তম। 15 ইঞ্চি – এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইজ। আপনার যদি বড় স্ক্রীনের প্রয়োজন হয় এবং আপনি যদি ল্যাপটপ নিয়ে চলাচল করতে না চান তাহলে এই সাইজটি আপনার জন্য শ্রেয়।
STORAGE : স্টোরেজ সাধারণত 2 ধরনের হয়। SSD এবং HDD।
SSD ড্রাইভ – SSD মূলত কম্পিউটারের একধরনের ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ব্যবস্থা। যার মূল কাজ হল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা। ওজনে হালকা এবং আকারে ছোট হওয়ায় দিন দিন এই SSD জনপ্রিয়তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং হার্ড ড্রাইভ এর প্রচলন কমে আসছে। SSD হার্ড ড্রাইভের মত কোন ডিস্ক থাকে না। এতে কয়েকটি ইলেকট্রিক চিপ থাকে যা ডাটা সংরক্ষনের কাজটি করে। এই এসএসডি স্টোরেজ ব্যবস্থা হার্ড ড্রাইভ এর তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করে।
HDD ড্রাইভ– হার্ড ডিস্ক বর্তমানে 250 জিবি থেকে 2 টেরাবাইট পর্যন্ত পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনার চাহিদা অনুযায়ী হার্ডডিস্ক নিন। হার্ডডিস্ক নির্ধারণ করার সময় এর আরপিএম ভালো করে দেখে নিন। আরপিএম যত বেশি হবে ফাইল ট্রান্সফার এর গতি তত বেশি হবে।
GRAPHICS CARD: আপনি যদি কম্পিউটারে উচ্চমানের গেমস খেলতে চান কিংবা হাই-রেজুলেসন এর ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স নিবেন। এক্ষেত্রে এর পারফর্মেন্স ভালো হবে। কিন্তু সাধারন কাজের জন্য ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্সই যথেষ্ট। বাজারে বর্তমানে 2-8 জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্সের ল্যাপটপ পাওয়া যায় যা আপনাকে উচ্চ মানের গ্রাফিক্সের কাজ এবং হাই এন্ড থ্রিডি গেমগুলোতে অসাধারণ পারফর্মেন্স দিবে।
DVD ড্রাইভ: যেহেতু সব সফটওয়্যার ও মুভি ডাউনলোড করা যায় তাই খুব কম ল্যাপটপেই অপটিক্যাল ড্রাইভ রয়েছে। আপনার পছন্দের ল্যাপটপটিতে যদি অপটিক্যাল ড্রাইভ না থাকে তাহলে একটি এক্সটারনাল ড্রাইভ কিনে নিতে পারবেন।
কীবোর্ড ও টাচপ্যাড চেক করুন: আপনি যদি ল্যাপটপে প্রচুর কাজ করার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে কীবোর্ডের সলিড টেকটাইল ফিডব্যাক, ভারটিক্যাল ট্র্যাভেল (সাধারণত 1 থেকে 2 এমএম) এবং কিগুলোর মাঝখানে যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। সঠিক টাচপ্যাড নির্বাচন করুন যা মাল্টি টাচ সংকেতে ধারাবাহিকভাবে সাড়া দেয়। খেয়াল রাখবেন যাতে টাচপ্যাডের কার্সার জাম্পি না হয়। আপনি যদি একটি বিজনেস ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে জি এবং এইচ বাটনের মাঝে পয়েন্টিং স্টিক আছে এমন একটি ল্যাপটপ বাছাই করতে পারেন কারন এতে করে আপনি কীবোর্ডের হম রো থেকে হাত না সরিয়েই নেভিগেশনের কাজ করতে পারবেন।
NETWORK: ল্যাপটপ এ ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই, ইউএসবি পোর্ট আছে কিনা এবং তার সংখ্যা কত তা ভালো ভাবে জেনে নিন। ইউএসবি 3.0 এবং এইচডিএমআই 2.0 হল সর্বশেষ আবিষ্কৃত প্রযুক্তি।
BATTERY BACKUP: ল্যাপটপ কিনার পূর্বে অবশ্যই এর ব্যাটারি ব্যাকআপ সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে নিন। ব্যাকআপ যত বেশি হবে আপনিও তত বেশি সুবিধা পাবেন।
বর্তমানে বিভিন্ন ব্রান্ড যেমন এইচপি, ডেল, আসুস, এসার ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয়। আপনার চাহিদা অনুসারে আপনি যেকোনো ব্রান্ড বেছে নিতে পারেন ।