সন্তান করোনা আক্রান্ত কি না বুঝবেন কীভাবে, নয়া গাইডলাইন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
Contents
How to understand if your child is not infected, what precautions to take:
Precautions : গত বছরের থেকে এ বার শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। এখনও পর্যন্ত ভারতের ৫.৮ শতাংশ শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা উপসর্গহীন। এদিকে তাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়নি এখনও। এই পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের উদ্বেগ বাড়ছে তাঁদের ছোট্ট সন্তানদের নিয়ে ৷ কীভাবে বুঝবেন আপনার বাচ্চা করোনা আক্রান্ত, কী সতর্কতা নেবেন-এব্যাপারে নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷
জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ শিশুর শরীরে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি (Asymptomatic)৷ থাকলেও খুব হালকা উপসর্গ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইনে বলা হয়েছে,
করোনার অন্যতম উপসর্গ জ্বর। কোভিডে আক্রান্ত হলে ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর হতে পারে শিশুদের। ভাইরাল ফিভার ভেবে বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে না করছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত কোভিডের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে কাঁপুনি, গা হাত পায়ে ব্যথা, দুর্বলতা থাকছে। তবে হালকা জ্বর হলেও এড়িয়ে যাবেন না। ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় রাখুন।
অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের নীচে নেমে গেলে মাঝারি উপসর্গ বলে গণ্য করা হবে। অন্যদিকে নিউমোনিয়া সহ অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের নীচে নেমে গেলে সেই শিশুকে গুরুতর অসুস্থ হিসাবে ধরে নিতে হবে।
আক্রান্ত শিশুদের ডায়রিয়া হচ্ছে। ভাইরাসটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকেও ব্যাহত করতে সক্ষম। তাই ডায়রিয়া কোভিডের একটি উপসর্গও হতে পারে।
হালকা কাশি হলেও গুরুত্ব দিন। কাশির সঙ্গে বুকে ব্যথা বা গলা ব্যথা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কোভিডে আক্রান্ত হলে শিশুদের মধ্যে এনার্জির অভাব দেখা যায়। বাচ্চার বারবার ক্লান্ত হয়ে পড়লে কোভিড টেস্ট করাতে হবে।
হালকা সংক্রমণের জন্য গাইডলাইনস
১. যদি বাচ্চার মধ্যে সংক্রমণের হালকা লক্ষণ থাকে – যেমন গলা ব্যথা এবং কাশি আছে তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই , এমন হলে হোম আইসোলেশন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২.শরীরের জলের অভাব এড়াতে আরও বেশি করে জল পান করাতে হবে, তরল জিনিস দিতে হবে।
৩.জ্বর হলে ১০-১৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল দিতে হবে।
৪.যদি কোনও বিপজ্জনক লক্ষণ দেখা যায় তবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গুরুতর সংক্রমণ
১.এই পর্যায়ে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট , মাল্টি অর্গান ডিসফংশান সিন্ড্রোম-এর মত গুরুতর লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে।
২.এমন বাচ্চাদের অবিলম্বে আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে হবে।
৩.গাইডলাইনে এই শিশুদের কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট , লিভার, রেনাল ফাংশন টেস্ট এবং বুকের এক্স রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।