HomeGovt Schemesমেরি কুরির (Mary Currie Diary) ডায়েরি: ছুঁয়ে দেখতে হলে নিতে হবে প্রাণনাশের...

মেরি কুরির (Mary Currie Diary) ডায়েরি: ছুঁয়ে দেখতে হলে নিতে হবে প্রাণনাশের ঝুঁকি

Mary Currie Diary

WhatsApp Group Join Now
Instagram Profile Join Now
YouTube Channel Subscribe

Mary Curie’s Diary: You have to take the risk of death if you touch it:pLLB0swb0JNJeLma image search 1589656160669


Mary Currie Diary: মেরি কুরির বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে একেবারেই কিছু জানেন না, বোধ করি এমন মানুষের সংখ্যাটা খুব কম। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, মেরি কুরির ব্যবহৃত যেকোনো জিনিসপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করতে চাইলে নিতে হয় জীবনের ঝুঁকি। ধরুন, কেউ যদি তার গবেষণার কাজে ব্যবহৃত ডায়েরি ঘেটে দেখতে চায়, তবে তাকে এমন একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে যেখানে লেখা থাকবে, তার জীবন ঝুঁকিতে পড়লে সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

মেরি কুরি পরিচিত ‘মাদার অফ মডার্ন ফিজিক্স’ নামে।

অসম্ভব মেধাবী এই মানুষটি পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী যার অর্জনের তালিকায় রয়েছে দুই-দুইটি নোবেল পুরষ্কার। প্রথমবার যৌথভাবে নোবেল পান, ১৯০৩ সালে পদার্থবিদ্যায়, দ্বিতীয়বার ১৯১১ সালে পান রসায়নে।

মেরি কুরি সর্বাধিক পরিচিত তেজস্ক্রিয় মৌল নিয়ে কাজ করার সুবাদে। তার আবিষ্কারের মধ্যে পলোনিয়াম ও পিচব্লেন্ড থেকে রেডিয়াম পৃথকীকরণ উল্লেখযোগ্য। এই আবিষ্কারগুলো তাকে সম্মানের উচ্চাসনে পৌঁছে দিয়েছিল সত্য, তবে শেষটায় ঘাতক হয়েছিল কি না সেই আবিষ্কারগুলোই!

Group Cards
Google News View Now

মেরি কুরির আবিষ্কৃত পলোনিয়াম মৌলটিই প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল তার।

তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে খুব একটা সতর্কতা মানার অভ্যাস তার ছিল না। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ লেগে থাকা টেস্টটিউব পকেটে নিয়ে চলাফেরা করতেন। এগুলো সংরক্ষণে ডেস্কের ড্রয়ার ব্যবহার করতেন। এভাবে প্রতিনিয়ত কোনো সতর্কতা ছাড়াই তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে কাজ করার কারণেই আক্রান্ত হন ‘অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া’ নামের এক ভয়ঙ্কর ব্যাধিতে। এই রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ ঘটায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। CCohrzDVAAAviQE

মেরি কুরি ও তার স্বামী পিয়েরে কুরি ১৮৯৮ সালে পলোনিয়াম আবিষ্কার করেন। এরপরই তিনি অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত হতে থাকেন। যদিও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তার এই আবিষ্কার তাকে প্রতিদিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তবুও তিনি গবেষণার কাজে কোনো অবহেলা করেননি। বরং স্বাভাবিকভাবেই গবেষণার চালিয়ে গেছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতির শেষটা হয় ১৯৩৪ সালে তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।

মৃত্যুর পর তার ব্যবহার্য সব কিছু ফ্রান্সের একটি মিউজিয়ামে বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়। তার ব্যবহৃত সব কিছু ছিল অত্যন্ত তেজস্ক্রিয়। এমনকি মৃত্যুর পর তার দেহ থেকে যেন তেজস্ক্রিয়তা ছড়াতে না পারে  সেজন্য তার কফিনটি ১ ইঞ্চি সীসা দিয়ে আবৃত করে দেওয়া হয়!

মহান এই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর পরও তার প্রতি জ্ঞানপিপাসুদের আগ্রহ কমেনি। এখন পর্যন্ত অনেকেই তার ডায়েরি, গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে গবেষণা করেন (Mary Currie Diary)।

কিন্তু এসব যদি কেউ দেখতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিতে হয়। যদিও তেজস্ক্রিয় নিরাপত্তার বিশেষ পোশাক পরে তবেই মেরি কুরির জিনিসপত্রে হাত দেওয়ার অনুমতি মেলে। আগামী ১,৫০০ বছর পর্যন্ত বিশেষ পদ্ধতিতেই মেরি কুরির ডায়েরিসহ বাকি সব কিছু সংরক্ষণ করা হবে। ধরে নেওয়া হয়, ১৫০০ বছর পর হয়তো তার জিনিসপত্রে তেজস্ক্রিয়তা থাকবে না।


Mary Currie Diary: I don’t know anything about Mary Currie’s colorful life, I think there are very few people. However, many may not know that if you want to deal with anything used by Mary Curie, you have to take the risk of life.

Suppose someone wants to look at the diary used in his research, he has to sign a piece of paper where it will be written, the museum authorities are not responsible if his life is in danger.

Mary Curie is known as the ‘Mother of Modern Physics’.

This impossibly talented man is the first scientist in the world to have two Nobel Prizes on his list. He received the first joint Nobel Prize in Physics in 1903 and the second in 1911 in Chemistry.

Mary Curie is best known for her work on radioactive elements. Among his discoveries was the separation of radium from polonium and pitchblende. It is true that these discoveries brought him to the heights of honor, but it was those discoveries that were fatal in the end!

The polonium element discovered by Mary Currie killed her.

She did not have the habit of being very careful when dealing with radioactivity. Mary carried a radioactive isotope with a test tube in his pocket. He used a desk drawer to store these.

Thus, due to constant exposure to radioactivity, he contracted a terrible disorder called ‘aplastic anemia’. The disease causes excessive bleeding in the infected person, lowering the immune system and leading to daily death.

Polonium was discovered in 1898 by Mary Curie and her husband Pierre Curie.

After that, he started suffering from aplastic anemia. Although he realized that his discovery was pushing him to the brink of death every day, he did not neglect his research work. Rather naturally the research has continued. The deterioration of his physical condition culminated in his death in 1934.

Everything he used after his death is preserved in a special way in a museum in France. Everything he used was highly radioactive. Even after his death, his coffin was covered with 1 inch of lead to prevent radiation from reaching his body!

Even after the death of this great scientist, the interest of those who are thirsty for knowledge has not diminished. So far many have researched his diary, various tools used in the research work. But if one wants to see all this, one must take the risk of being exposed to radioactivity.

However, Mary Curie was allowed to hand over her belongings only after wearing special radioactive clothing. Everything else, including Mary Curie’s diary, will be preserved in a special way for the next 1,500 years. It is assumed that after 1500 years, his material may not have radioactivity.

WhatsApp Group & Google News Flow
WhatsApp Group Join Now
Google News View Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular