লকডাউনে শ্রমিকদের দুর্দশায় তাদের চাটার্ড বিমান ওড়ানো যায় তিনি দেখিয়েছিলেন গোটা ভারতবর্ষের মানুষকে৷
Contents
উড়িষ্যার মহিলা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনে তিনি তৎপর হলেন৷কেরলে আটকে থাকা ১৭৭ জন শ্রমিককে নিজেদের রাজ্যে ফেরার জন্যে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে দিলেন৷
গল্প বলছি লকডাউনের সময়ের৷
শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে একেবারে চার্টার্ড ফ্লাইট!বিশ্বাস করুন বিশ্বাস যেন হয়না!তবে মানুষটা যে সোনু সুদ,গরিবের বন্ধু,তাঁর পক্ষে সব সম্ভব৷ তখন তাদের অনেক নাম,বিশেষন৷যারা বাইরে কাজ করতে যান তারা হয়ে গিয়েছেন গনমাধ্যমের ভাষায় পরিযায়ী শ্রমিক৷গোটা লকডাউন পর্বে এই মানুষগুলো সব থেকে বেশি বিপদে পড়েছিলেন সেই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই৷
আমি কেন অনেকেই কেবলমাত্র সনু সুদ নামটা জানতাম৷স্বীকার করতে দ্বিধা নেই,মানুষটাকে খুব ভাল ভাবে চিনতাম না৷ আজ একটা আস্ত বিমানের গায়ে তাঁর বিশাল বড় প্রতিকৃতি আঁকা। সঙ্গে লেখা, ‘রক্ষাকর্তা সোনু সুদকে সম্মান জানাতে।‘ ট্যুইটারে সেই ছবি শেয়ার করছেন খোদ অভিনেতা। লিখছেন, ‘অসংরক্ষিত টিকিটে মোগা থেকে মুম্বই আসার সেই দিনগুলো মনে পড়ছে।‘
তিনি লকডাউনের সময়
১৭৭ জন মহিলাকে ফেরাতে চাটার্ড বিমানের ব্যবস্থা করলেন খবরে পড়ে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম৷ভাবছিলাম এমন মানুষরা আমাদের সমাজে আমাদের পাশেই আছেন৷ শ্রমিকদের দুর্দশায় তখন চোখে জল গোটা দেশের। হাজার হাজার শ্রমিকের সাহায্য করতে,তাদের ঘরে ফিরতে যথা সম্ভব ফেরার বাস এবং খাবারের বন্দোবস্ত
করেছিলেন বলিউডের অভিনেতা সোনু সুদ।
কিন্তু,শ্রমিকদের জন্য চার্টার্ড বিমান!সেতো বিত্তশালীদের ক্ষমতা হয়,কিন্তু শ্রমিকদের জন্য একেবারে চাটার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে বুঝিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের একজন সোনু সুদ আছেন৷তারপর থেকেই তাঁর সমাজসেবা থামেনি৷
পর্দার খলনায়ক সোনু এখন সারাদেশের মানুষের নয়নের মনি, ‘মসিহা’। তবে কিছুদিন আগেই স্বয়ং সোনু সুদ বই লিখেছেন ‘আই এম নট এ মসিহা’৷এসডিজি স্পেশাল হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই অ্যাওয়ার্ড তিনি পেয়েছেন৷ সোনু সুদ রিলের নয় রিয়েল লাইফের হিরো৷এমন সহ নাগরিকের জন্য গর্ব অনুভব হয় হৃদয়ের অন্তরস্থল থেকেই৷ মানুষটাকে বিমানসংস্থা স্পাইসজেটের অনন্য সন্মান, নিঃসন্দেহে তাঁর জীবনে এক বড় স্বীকৃতি৷এভাবেই এগিয়ে চলুন গরিবের বন্ধু সোনু সুদ৷