Smart Update24,By Syed Mosharaf Hossain
চলুন আজ আমরা জানবো এমন এক বিজ্ঞানির কথা যিনি ব্যর্থতা কে জয় করে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী –
পৃথিবীতে যতই বিখ্যাত বিজ্ঞানী আছে তারা কেউ একপারেই বিজ্ঞান জগতের সবচেয়ে উপরে উঠে আসেন নি। তাদেরকে যে জীবনে এগিয়ে যেতে অনেক কঠিন পরিশ্রম কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে । বারবার ব্যর্থ হয়েছেন কিন্তু তা সত্বেও তারা হার মানেননি বলে আজকে তারা এত বড় নামের একজন বিজ্ঞানী হতে পেরেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বিজ্ঞানী হচ্ছেন Albert Einstein ।
এই সকল মানুষের মধ্যে একটা আশ্চর্য রকম মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস থাকে। যার ফলে তারা বারবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও উঠে দাঁড়াতে পারে কখনো তারা ব্যর্থ হওয়ার পর নিজের কাজ বন্ধ করেনি ।কখনো নিজের উপর বিশ্বাস হারান না । তাদের এইসব ব্যর্থতার গল্প থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে । তাদের জীবনী পড়ে আমাদের অনেক কিছু করার আছে ।আপনি নিজের জীবনে অনেক রকম বিপদ ও খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছেন ।এইসব খারাপ পরিস্থিতিতে এইসব অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষের ব্যর্থতার গল্প এবং ব্যর্থতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়ার গল্প যদি আপনি মাথায় রাখেন তাহলে আপনার মনে একটা সাহস আসবে এবং আপনি নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে পারবেন। যে যদি তিনারা করতে পেরেছেন তাহলে আপনিও করতে পারবেন । কোন বড় লক্ষ্য অসম্ভব মনে হবে না । আপনার কাছে যেকোনো ব্যর্থতায় আপনি নিজেকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এনাদের গল্প পড়ে । চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আইনস্টাইন ব্যর্থতার কাহিনী।
পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা যখন বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি তখন সর্বপ্রথম একজন বিজ্ঞানীর নাম উঠে আসে সেটি হচ্ছে বিজ্ঞানী Albert Einstein। তিনি নিজের জীবনে এতটাই সফল বিজ্ঞানী যে বিজ্ঞান কথাটি মাথায় আসলে সর্বপ্রথম তার কথাই মাথায় আছে কারণ তার ভাবনা চিন্তা নিয়েই আজকে আমরা বিজ্ঞানে এতটা উন্নতি করতে পেরেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা ও মেধাবী বিজ্ঞানী বলা হয়ে থাকে কিন্তু আপনারা কি জানেন 1879 সালে জন্ম নেওয়া এই জার্মানির জিনিয়াস বিজ্ঞানীকে সেই সময় পর্যন্ত সবাই গর্ধব ,বোকা ,পাগল মনে করত। কি শুনতে অবাক লাগল তাইনা কিন্তু এটা সত্য। তিনি কোন কিছুর দিক থেকে ভালো ছিলেন না। সাধারনত ছেলেরা দুই থেকে তিন বছর বয়সে কথা বলতে শিখে নেই কিন্তু তিনি কথা বলতে শিখেছিলেন চার বছর বয়সে। তিনি পড়াশোনায় একদম কাঁচা ছিলেন। ১৬ বছর বয়সে জুরিখের সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় শোচনীয় ভাবে ফেল করেন।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ে প্রতিটি বিষয়ে তিনি এতই বাজে রেজাল্ট করতেন যে, একাধিক বার পড়াশুনা বাদ দেয়ার চিন্তা করতে হয়েছিল। মারা যাওয়ার সময়ে তাঁর বাবার একমাত্র দু:খ ছিল যে এই গর্ধভ ছেলে জীবনে কিছুই করতে পারবে না। বাবার এই কথায় আইনস্টাইন বহুদিন ধরে মনে কষ্ট চেপে রেখেছিলেন।কোনও কাজ না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে ইন্সুরেন্স সেলস ম্যানের কাজ নেন। কোনও কাজ না পারলে মানুষ এই ধরনের চাকরি করতো। ২ বছর পর তিনি পেটেন্ট অফিসে কাজ পান। যেখানে নতুন ডিভাইস পেটেন্ট করার আগে পরীক্ষা করা হতো।কিন্তু একটা সময়ে এই মানুষটাই পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তাঁর সেই ‘ডাল ব্রেন’ নিয়ে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি মূল সূত্র সৃষ্টি করে গেছেন। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নোবেল প্রাইজ জিতেছেন। প্রমাণ করেছেন যে চেষ্টা করলে সবাইকে দিয়েই সবকিছু সম্ভব।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।